অবশেষে টানা ১৩ দিন পর কাটল তাপ্রপ্রবাহ। ফলে জনজীবনে নেমে এসেছে স্বস্তি।
গত ২৯ মে তাপপ্রবাহ শুরু হয়, যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে উঠে যায় রাজশাহীতে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু তথা বর্ষা দেশের বেশির ভাগ জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়েছে সারা দেশেই, যা আরও বাড়বে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে এবং এটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।
এই অবস্থায় রোববার (১১ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ উঠতে পারে ৮-১২ কিলোমিটার।
আগামী দুই দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। বর্ধিত পাঁচদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশের অবশিষ্টাংশে বিস্তার লাভ করতে পারে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, কক্সবাজার, সিলেট এবং চট্টগ্রাম অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উপকূলে ঝড়ের শঙ্কায় সমুদ্রবন্দরগুলোতেও তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
শনিবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামে ৮২ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Leave a Reply