ইসরায়েলের ১৩ বন্দিসহ আরও ১৭ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। মুক্তি পাওয়া অন্য চার বন্দি থাইল্যান্ডের নাগরিক। চার দিনের চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় দ্বিতীয় দিনে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
তবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে চলমান বিরতির এই বৈরিতা শনিবার কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতায় সমাধান করা হয়। ইসরায়েল এখন তার কারাগার থেকে ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, ১৭ জন বন্দি ইসরায়েলে পৌঁছেছে। তারা বলেছে, ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা মূল্যায়নের পর তারা আইডিএফ (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) সৈন্যদের সাথে থাকবে এবং পরে তাদের ইসরায়েলি হাসপাতালে নেওয়া হবে। সেখানে তারা তাদের পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হবে।’
আল জাজিরার হামদাহ সালহুত অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া এই ১৭ জনকে ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি বিমানঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের অতিরিক্ত চিকিৎসা ও মানসিক পরীক্ষার জন্য তেল আবিব এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।’
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি বন্দিদের মধ্যে ছয়জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী এবং সাতজন শিশু ও কিশোর রয়েছে। ৫০ দিন বন্দি থাকার পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলেও এতে বলা হয়েছে।
এর আগে শনিবার ১৪ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের। তবে মুক্তির বিষয়টি একপর্যায়ে হুমকির মুখে পড়ে যায়। কারণ হামাসের শর্ত ছিল, গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েল যতক্ষণ পর্যন্ত ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে না দেবে— ততক্ষণ পর্যন্ত বন্দিদের মুক্তি দেবে না তারা।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চুক্তি হয়েছিল প্রতিদিন গাজায় ২০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। সেই শর্ত মেনে শনিবার ২০০টি ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উত্তরাঞ্চলেও পাঠানো হয়েছে ৫০টি ত্রাণবাহী ট্রাক।
তবে হামাস দাবি করেছে, ইসরায়েল সেই শর্ত মানেনি।
Leave a Reply