1. admin@mohanagarbarta.com : admin :
  2. editor@mohanagarbarta.com : editor :
  3. moshiur12600@gmail.com : moshiur :
সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

হামলার জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিস্তৃত যুদ্ধ চাই না: বাইডেন

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৯৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি জর্ডানে মার্কিন বাহিনীর ওপর মারাত্মক ড্রোন হামলার জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত বা বৃহত্তর যুদ্ধ চান না।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সপ্তাহান্তে জর্ডানে ড্রোন হামলায় তিনজন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ইরান সমর্থিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে। সিরিয়ার সীমান্তের কাছে গত রোববারের সেই হামলায় আরও ৪০ জনেরও বেশি মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন।

রোববারের সেই হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ইরান সমর্থিত কট্টর গোষ্ঠী এ হামলা চালিয়েছে এবং ‘এর জবাব দেওয়া হবে’। এমন অবস্থায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন, জর্ডানে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা।

জবাবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘হ্যাঁ’। হামলার ঘটনায় ইরানকে দোষারোপ করা উচিত কিনা তাও তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের (ইরানকে) এই অর্থে দায়ী করি যে, যারা এই হামলা করেছে তারা (ইরান) তাদেরকে অস্ত্র সরবরাহ করছে।’

অবশ্য জর্ডানের সেই সামরিক ঘাঁটিতে হামলায় কোনও ধরনের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে ইরান।

এদিকে হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিক্রিয়ায় ‘কয়েকটি স্তরের পন্থা’ বেছে নিতে পারে।

ফ্লোরিডায় নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের ক্যাম্পেইনে যোগদানে বাইডেনের সফরের জন্য এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুধুমাত্র একটি পদক্ষেপ নয়, সম্ভাব্য একাধিক পদক্ষেপ থাকতে পারে… সময়ের সাথে সাথে সেগুলো সামনে আসতে পারে।’

কিরবি আরও বলেন: ‘প্রেসিডেন্ট আমাদের সৈন্য এবং আমাদের অবকাঠামোগুলো রক্ষা করার জন্য এবং আমাদের জাতীয় সুরক্ষার জন্য যা করতে হবে তা করবেন।’

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনও অবশ্য বলেছিলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যেমন বলেছেন, আমরা (হামলার) প্রতিক্রিয়া জানাব এবং সেই প্রতিক্রিয়া বহু-স্তরীয় হতে পারে, পর্যায়ক্রমে আসতে পারে এবং সময়ের সাথে সাথে চলতে পারে।’

মূলত ইরাক ও সিরিয়াজুড়ে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের অগণিত সংখ্যক ঘাঁটি, অস্ত্রের গুদাম এবং প্রশিক্ষণ ডিপো রয়েছে। এই মিলিশিয়ারা ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের হাতে প্রশিক্ষিত, সজ্জিত। এছাড়া তারাই এগুলোর অর্থায়ন করে। কিন্তু তারা সবসময় আইআরজিসির মাধ্যমে পরিচালিত হয় না।

এছাড়া সামরিক ঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক নামে একটি গ্রুপ।

মূলত ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীকে একত্রিতভাবে বোঝাতে এই নামটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যার মধ্যে কিছু গোষ্ঠী আবার অপ্রত্যাশিত ভাবে এই অঞ্চলে সবার অভিন্ন শত্রু ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থেকে অতীতে লড়াইও করেছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট