বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে সকাল থেকে রাজধানীর সড়ক মহাসড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা দেখা গেছে। তবে গণপরিবহণ কম হলেও ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি চোখে পড়ছে। অনেকক্ষণ বিরতি দিয়ে যে একটি গণপরিবহন বাস স্টপেজে থামছে তাতে অফিসমুখী ও বিভিন্ন গন্তব্যের মানুষজনকে ঠাসাঠাসি করে উঠতে দেখা গেছে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সরেজমিনে উত্তরা, কুড়িল বিশ্বরোড়, বনানী, মহাখালী ও মিরপুর ঘুরে দেখা যায় সড়ক-মহাসড়কের এমন চিত্র দেখা যায়।
আরেক যাত্রী জাহিদুল ইসলাম বলেন, হরতালের প্রভাবে তো রাস্তায় গাড়িই নাই। আজ অফিস আছে, অনেকের পরীক্ষা আছে। এটা চরম এক ভোগান্তি।
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী আজমল বলেন, আজ আমাদের অনার্সের একটা পরীক্ষা আছে। হরতালের জন্য আজ রাস্তায় বাস কম। পরীক্ষা মিস হয়ে গেলে তো আমাদের ক্ষতি হবে।
গণপরিবহণ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হরতালের কারণে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কম। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী গাড়ি নামানো হচ্ছে।
উত্তরা-আজিমপুর রুটে চলাচলকারী ভিআইপি ২৭ বাসের সহকারী রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, হরতালের জন্য মালিকরা হিসাব করে গাড়ি নামাচ্ছে। একেকটা গাড়ির দাম ৪০-৫০ লাখ। কোনো কারণে যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে কর্তৃপক্ষের লস।
এদিকে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বেশ সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। তারা বলছেন, জনগণের জানমালের ক্ষতি হয় এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ করার চেষ্টা করে তাহলে আইন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হেবে।
Leave a Reply