টানা দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। সোমবার (১৭ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তবে ওইদিন ঢাকার তাপমাত্রা আগের দিনের চেয়ে ২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়। একইসঙ্গে দক্ষিণপশ্চিম দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ৬-১২ কিমি. গতিবেগের বাতাসে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে রাজধানীবাসীকে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, আজ থেকে সারাদেশে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। ১৯ এপ্রিল থেকে ঢাকার তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। ১৯-২০ এপ্রিলের দিকে সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। তবে ২৩ এপ্রিল থেকে সিলেট সুনামগঞ্জসহ হাওর এলাকায় ভারী বর্ষণর হতে পারে।
তিনি বলেন, ২৩ এপ্রিল ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর অঞ্চলের কোনো কোনো এলাকার ওপর দিয়ে বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া বিরাজ করছে। তাই দীর্ঘ দাবদাহের পর আবার ভারী বর্ষণ হতে পারে।
ঢাকা শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত যানবাহন, ঘরে ঘরে এয়ারকন্ডিশনিংয়ের তাপ এবং নির্মাণকাজের ফলে সৃষ্ট তাপ অন্যতম প্রধান কারণ বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, একারণে হয়তো ঢাকার পাশের মানিকগঞ্জে জেলাতেই তাপমাত্রা ঢাকার চেয়ে ২-৩ ডিগ্রি কম।
এদিকে আজ সন্ধ্যার পর থেকে নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় কালবৈশাখী ঝড়, হালকা বৃষ্টিপাত ও তীব্র বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
অন্যদিকে অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার রাতে সিলেটের বেশ কয়েকটি উপজেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাত ৯টার পরে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানিগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply