রমজান শুরুর আগে থেকেই নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে সড়কে বিশেষ ব্যবস্থার কথা বলছে ট্র্যাফিক পুলিশ! যদিও সপ্তাহের শুরু ও শেষদিন ঢাকার রাস্তায় বেসামাল অবস্থা থাকে।
এবার রমজানে নগরবাসীকে স্বস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থেকে ট্র্যাফিক সদস্যদের রোস্টার ডিউটি বাতিল, বিকেলে সড়কে ডিউটি বাড়ানো হয়েছে। সকাল ও বিকেল বেলা, বিশেষ করে ইফতারের আগে চাপ সামলাতে সড়কে দাঁড়াতে দেখা গেছে ট্র্যাফিক সদস্যদের।
রাজধানীর আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, বিজয় সরণি, মহাখালী, তেজগাঁও সরেজমিনে ও বনানী, উত্তরা সড়কের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়কে নেই যানজট। তবে বাড়তি চাপের কারণে বিভিন্ন সড়কে যানবাহনের ধীরগতি। ইন্টারসেকশন ও সিগন্যাল কেন্দ্রিক যানবাহনে ধীরগতি, আবার কোথাও সাময়িক জটলা দেখা গেছে। তবে বিজয় সরণি সিগন্যালে দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে দেখা গেছে ইনকামিং সড়কের যানবাহনগুলোকে।
ট্র্যাফিক তেজগাঁও বিভাগের শেরেবাংলা নগর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. তারেক সেকান্দার জানান, অন্য কোনো বৃহস্পতিবারের মতো নেই আজ সড়কের অবস্থা। স্কুল কলেজ বন্ধ। সকালের বড় চাপটা কমে গেছে সড়কে। এখন যানজট নেই, তবে অফিসগামী যানবাহনের চাপ আছে। সেটা যাতে যানজটে রূপ না নেয় সেজন্য সড়কে শেরে বাংলানগরের ট্র্যাফিক সদস্যরা সক্রিয় রয়েছে।
ট্র্যাফিক উত্তরা বিভাগের এয়ারপোর্ট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শাখাওয়াত হোসেন সেন্টু বলেন, অন্যান্য দিনের মতো গাড়ি চাপ স্বাভাবিক রয়েছে। সকালে অফিস টাইমে অতিরিক্ত চাপ ছিল, তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমছে।
ট্র্যাফিক গুলশান বিভাগের মহাখালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আরিফুর রহমান রনি বলেন, আজ সকালে তেমন একটা যানজট নেই, তবে গাড়ির চাপ রয়েছে। সারাদিন মোটামুটি গাড়ির চাপ থাকবে। তবে ইফতারের আগেই চাপটা আরও বৃদ্ধি পাবে।
পুরান ঢাকার যানজট পরিস্থিতি জানতে চাইলে ট্র্যাফিক লালবাগ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাজীব গাইন বলেন, আজ থেকে ছুটি শুরু হবে। এখন পর্যন্ত গাড়ি রানিং (চলন্ত) অবস্থায় আছে। তবে খুব বেশি যানজট নেই। ফুলবাড়িয়া হলো সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার, এ কারণে রিকশা ও ঠেলাগাড়ির সংখ্যা বেশি এই এলাকায়।
তিনি বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ বাড়ছে। তবে আমাদের ট্র্যাফিক বিভাগের সব কর্মকর্তা মাঠে রয়েছেন।
যানজট না থাকলেও সকালে সড়কে গাড়ির চাপেই ক্ষুব্ধ অনেক যাত্রী। আবার অনেকে যানজট না পেয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে খুশি।
তৌহিদুল ইসলাম নামে প্রাইভেট কারের এক আরোহী জানান, বিজয় সরণিতে আটকে ছিলাম ৩ মিনিট। এরপর বাকি পথে কোথাও আজ দাঁড়াতে হয়নি। বৃহস্পতিবার হিসেবে বিষয়টি অবিশ্বাস্য বটে।
মহাখালীতে রেলক্রসিংয়ের কারণে সিগন্যালে আটকে থাকায় বিরক্ত বাইক চালক সহিদ উদ্দিন বলেন, রেলক্রসিং পার হওয়ার পরই আবার আমতলী সিগন্যালে আটকে দিলো। সড়ক দেখতেছি স্বাভাবিক। কিন্তু সিগন্যালগুলো বড়ই যন্ত্রণার।
Leave a Reply