1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন

শেকড়ের টানে মধ্যরাতে গ্রামে ছুটছে মানুষ

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩
  • ৯২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

মুসলিম উম্মাহর অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। দিনটি আপনজনের সঙ্গে উদযাপনের জুড়ি নেই বাঙালির। তাই তো মধ্যরাতে আগেভাগেই শেকড়ের টানে ছুটতে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ।

স্বপ্ন পূরণে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ায় এসে বসবাস করছে লাখ লাখ মানুষ। এদের অনেকেই কাজ করেন বিভিন্ন শিল্প কারখানায়, কেউ দিনমজুর, কেউবা গৃহিণী। মূলত দিনমজুর ও অন্যপেশার মানুষরা আগেভাগেই ছুটতে শুরু করেছেন গ্রামে। তবে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি ছুটি ঘোষণা হওয়া মাত্র একযোগে নাড়ির টানে গ্রামের দিকে রওনা হবেন চাকরিজীবীরা।

শুক্রবার (২৩ জুন) মধ্যরাতে সাভারের নবীনগর, বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড ও কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, ঈদ উদযাপন করতে গাড়ির পানে চেয়ে আছেন অসংখ্য যাত্রী। তারা যানজট এবং অতিরিক্ত ভাড়া এড়াতে আগেভাগেই এসেছেন বাসস্ট্যান্ড ও কাউন্টারে। তবে যানজটের সম্মুখীন না হলেও অতিরিক্ত ভাড়া ও গাড়ির অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। চেয়ারকোচের ভাড়া ঠিক থাকলেও প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছেন লোকাল গাড়ির স্টাফরা।

আশুলিয়ার বাইপাইল বাস স্ট্যান্ডে পোশাকশ্রমিক সাজ্জাদ হোসেন তার ভাইকে গাড়িতে তুলে দিতে এসেছেন রাত ১০টার সময়। চেয়ারকোচ গাড়ির টিকিট না পেয়ে লোকাল গাড়িতে ভাইকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। নরমাল সময় বাইপাইল থেকে বগুড়ার ভাড়া ৪৫০/৫০০ টাকা। কিন্তু লোকাল বাসের ভাড়াই নিচ্ছে ৯০০/৯৫০ টাকা। তবে হানিফ, শ্যামলী, অরিন ও অন্যসব কাউন্টারের গাড়ির টিকিটের দাম আগের মতই নিচ্ছে।

হানিফ কাউন্টার মাস্টার সাইফুলের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা আগের মূল্যেই টিকিট বিক্রি করছি। ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে নেই। এসব অভিযোগ লোকাল গাড়ির বিরুদ্ধে। আজ যাত্রীর চাপ বাড়তেই ভাড়া বাড়িয়েছে একটা শ্রেণি।

শিক্ষার্থী বাবু হিলি যাওয়ার জন্য বসে আছেন নবীনগর টিকিট কাউন্টারে। তিনি বলেন, আমার বাবা পোশাক কারখানায় চাকরি করেন, আর আমি লেখাপড়া করি। ঈদের ছুটিতে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া ৫০০ টাকার টিকিট হয়ে যায় ১৫০০/২০০০ টাকা। তাই একটু আগেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলাম। কিন্তু এসে দেখি আগের মতই বিপদ। ঈদের ছুটিতে যানজটে আটকে থাকতে হয়, এখন গাড়ির অপেক্ষায় বসে আছি। লোকাল গাড়ি পেলেও বাড়ি যাবো।

এ ব্যাপারে সৈকত পরিবহনের চালক রহমান বলেন, আমরা ঈদে একটু বাড়তি ইনকামের চেষ্টা করি এটা সত্য। কিন্তু এখন এরকম বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। এখন যাত্রীর চাপ বেড়েছে কিন্তু ঈদের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। এসব অভিযোগ মোটেও ঠিক না।

এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক আজিজুল হক বলেন, আমরা সর্বদা মহাসড়কে রয়েছি। কোন ধরনের অভিযোগ থাকলে হাইওয়ে পুলিশকে জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থাগ্রহণ করবো। এছাড়া ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ আমাদের কাছে এখনও কেউ করেন নি। এমনটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট