ঘন কুয়াশার আবরণে ঢাকা পড়েছে উত্তরের হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। ঘন কুয়াশায় শহরের সড়কগুলোতে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। একই চিত্র গ্রামের সড়কগুলোতেও। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই।
প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ জানান, গতকাল থেকে কুয়াশার আবরণে ঢাকা পড়েছে উত্তরের এ জেলা। আজ কুয়াশাটা বেশি পড়েছে। তবে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির মধ্যেই রেকর্ড হচ্ছে। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
স্থানীয়রা বলছেন, আজ খুবই ঠান্ডা পড়েছে। তার মধ্যে ঘন কুয়াশার কারণে অন্ধকারের মতো লাগছে। হাত-পা অবশ হয়ে আসছে ঠান্ডার কারণে। বিশেষ করে এ এলাকাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছাকাছি হওয়ায় এখানে এ সময়ের প্রচণ্ড শীতে কাঁপতে হয় আমাদের। রাতে গায়ে কাঁথা-কম্বল নিতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে পৌষ মাসের ঠান্ডা শুরু হয়েছে।
পাথর শ্রমিক কামাল-নাসির বলেন, কুয়াশা কারণে কাজে যেতে মন না চাইলেও কাজে যেতে হচ্ছে। প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাঁপলেও জীবিকার তাগিদে পরিবারের কথা চিন্তা করে কাজে বের হয়েছি। কাজ না করলে কী খাব।
ভ্যান চালকরা বলছেন, আজ ঠান্ডা বেশি। তার মধ্যে কুয়াশায় কিছু দেখা যাচ্ছে না। ঠান্ডার মধ্যে সহজে ভ্যানে কেউ চড়তে চান না। কিন্তু কী করবো এই ভ্যান চালিয়ে আমাদের চলতে হয়। এখন পর্যন্ত শীতের কাপড় কিনতে পারিনি। শীতের কারণে জ্বর-সর্দি, কাশিতেও ভুগছি।
স্কুল শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন, গত দিনের চেয়ে আজকে কুয়াশা পড়েছে অনেক। ঠান্ডাও লাগছে বেশ। কোচিংয়ে বের হয়েছি। ঠান্ডা লাগছে।
এদিতে শীতের কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীদের ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
Leave a Reply