দীর্ঘ সাত বছর পর রাজশাহী জেলা যুবলীগের সম্মেলন হতে যাচ্ছে। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর রোববার জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সম্মেলনের দিন ধার্য করা হয়।
রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন মিলন জানান, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল সাক্ষরিত এক আদেশে সম্মেলনের দিন ধার্য করে মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর সম্মেলনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সম্মেলনের প্রস্তুতির কাজ শুরু করবো।
সম্মেলনের দিন ঘোষণার পর পরই নড়েচড়ে উঠেছে জেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দ। সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঙাভাব বিরাজ করছে। ইতোমধ্যেই পদ প্রত্যাশী ও তাদের পক্ষে দোয়া সমর্থন চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন অনেকেই। আবার কেউ কেউ দোয়া ও সমর্থন চেয়ে ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের দিকে চোখ অনেকের। এরইমধ্যে প্রায় ৪০ জন নেতা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। পদ প্রত্যাশি এসব নেতা আওয়ামী লীগের নেতাদের সমর্থন আদায়েও তৎপরতা চালাচ্ছেন।
জানা গেছে, রাজশাহী যুবলীগের দীর্ঘদিনের কমিটির বিপক্ষে নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় নেতাদের অবহিত করলে চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারীতে রাজশাহী জেলা ও মহানগর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পদ-প্রত্যাশীদের জীবন-বৃত্তান্ত নিয়েছে দলটি হাইকমান্ড। গত ১৮, ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারী এই তিনদিন জীবন-বৃত্তান্ত জমা নেয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জেলা যুবলীগের দুই পদের জন্য ২২ জন নেতা তাদের জীবন-বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৯ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৩ জন।
সভাপতি পদের জন্য যারা জীবন-বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন এদের মধ্যে রয়েছেন, বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী আযম সেন্টু, মাহমুদ হাসান ফয়সাল সজল, মোজাহিদ হোসেন মানিক, আলমগীর মুর্শেদ রঞ্জু, আনোয়ার হোসেন, তাসিকুল ইসলাম, এমদাদুল হক, রেজাউন নবী আল মামুন, আরিফুল ইসলাম রাজা।
এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে যারা জীবন-বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন এদের মধ্যে রয়েছেন, মোবারক হোসেন মিলন, ওয়াসিন রেজা লিটন, সামাউন ইসলাম, রফিকুজ্জামান রফিক, কামরুল ইসলাম মিঠু, জৌলুস মাহমুদ জেম্স, মোকাদ্দেস আলী, মুক্তার হোসেন, মেরাজুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, সেজানুর রহমান, ফয়সাল আহমেদ রুনু, মামুন আর রশিদ।
সর্বশেষ রাজশাহী জেলা যুবলীগের কমিটি হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ। এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৮ সালের ১৬ মার্চ। নানা অজুহাতে জেলা যুবলীগের নতুন কমিটি আর হয়নি। কেন্দ্রেরও বিশেষ চাপ না থাকায় সম্মেলনের তাগিদও নেই কারও। এর ফলে ক্ষমতাসীন দলের যুব সংগঠনের দলীয় কর্মকাণ্ড রাজশাহীতে প্রায় নেই বললেই চলে। বর্তমান কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে তৃণমুলের নতুন কমিটিসহ বর্ধিত সভার কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।
Leave a Reply