গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ ইয়ামিন (৩৫), মোঃ আরাফাত হোসেন রিয়াদ (২১) ও মোঃ ফিরোজ (২২)। মোঃ ইয়ামিন রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার চর-আষাড়িয়াদহ পানিপার গ্রামের মোঃ আরশেদ আলীর পুত্র। মোঃ আরাফাত হোসেন রিয়াদ একই জেলার একই থানার হরিশংকরপুর গ্রামের মোঃ আসাদুল ইসলামের পুত্র এবং মোঃ ফিরোজ একই জেলার একই থানার পিরোজপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল হাকিমের পুত্র।

ঘটনাসূত্রে জানা যায়, রাজশাহী জেলার ডিবি’র এসআই মোঃ আব্দুল করিম ও এসআই মোঃ নাছিম উদ্দিন ফোর্স-সহ গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টায় রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানাধীন চর-আষাড়িয়াদহ নওশেরা মোড় ও তার সন্নিহিত এলাকায় মাদক উদ্ধারের জন্য নিয়োজিত ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, ঐ দিন রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানাধীন চর-আষাড়িয়াদহ পানিপার গ্রামস্থ অভিযুক্ত মোঃ ইয়ামিন এর বসতবাড়ির পূর্ব দুয়ারি তিনকক্ষ বিশিষ্ট টিনের ছাপড়া ঘরের উত্তর-পশ্চিম কোনে ইয়ামিনের শৈায়ার কক্ষের ভিতরে কয়েকজন ব্যক্তি অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইন বিক্রয় করছিলো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মোঃ আব্দুল করিম ও এসআই মোঃ নাছিম উদ্দিন ও ফোর্স-সহ আজ ভোর আনুমানিক ৫টায় অভিযান পরিচালনা করে। ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে ভোর সাড়ে ৫ টায় রাজশাহীর ডিবি পুলিশ অভিযুক্ত মোঃ ইয়ামিনের দেহ তল্লাশি করে তার কাছে থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ১০০ গ্রাম হেরোইন এবং পলাতক অভিযুক্ত গোদাগাড়ী থানাধীন চর-আষাড়িয়াদহ এলাকার মোঃ বাবলুর ছেলে  মোঃ সাফিউল ইসলামের ফেলে যাওয়া মেঝেতে একটি সাদা স্বচ্ছ পলিথিনে মুখবন্ধ অবস্থায় বাদামিবর্ণের গুড়াপদার্থ অবৈধ মাদকদ্রব্য ১০০ গ্রাম হেরোইন-সহ তাদেরকে গ্রেফতার করে।

হেরোইন উদ্ধারের এ ঘটনায় রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এ একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।