1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২২ পূর্বাহ্ন

বহুল আলোচিত রাবি অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে একই মঞ্চে হলো দুই আসামির ফাঁসি

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০২৩
  • ১২৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে দেশের বহুল আলোচিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই দিবাগত রাত ১০টা ১ মিনিটে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. আব্দুল জলিল। প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ। দুইদিন পর ৩ ফেব্রুয়ারি রাবির তাঁর নিজ বাসার পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক এস তাহের আহমেদের অর্ধগলিত মরদেহ। ওইদিন রাতে তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অধ্যাপক তাহেরের সহকর্মী সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলমসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে।

২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম, তার ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালাম। তবে বিচারে খালাস পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও জাহাঙ্গীরের বাবা আজিমুদ্দিন মুন্সি।

পরবর্তীতে সাজাপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল বিভাগ মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের রায় বহাল রাখলেও নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করেন।
সর্বশেষ মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করে। কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রায় ছয় মাস আগে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন তারা। সে আবেদনও নাকচ করেন রাষ্ট্রপতি। এর পর সকল প্রক্রিয়া শেষে গতকাল ২৭ জুলাই রাত ১০টা ১ মিনিটে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. আব্দুল জলিল আরও জানান, ফাঁসি কার্যকরের পর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ফাঁসি কার্যকর করার সময় ফাঁসির মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক কামাল হোসেন, রাজশাহী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক শামিম আহম্মেদ, রাজশাহীর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব, রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিহা সুলতানা, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. আব্দুল জলিল, কারাগারের জেলার নিজামুল আজিম, রাজশাহী কারা হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডা. মো. মিজানুর রহমান, ডা. মো. জুবায়ের আলম, ফার্মাসিষ্ট উমর ফারুক, ডেপুটি জেলার সাদ্দাত হোসেন।
এর আগে রাত ৯টার দিকে ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি দুই আসামীকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানান সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল। তিনি এসময় মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রায় পড়ে শুনান। এর পর তাদের গোসল করিয়ে খাবারের বিষয়ে শেষ ইচ্ছা আছে কি না জানতে চাওয়া হয়। পরে ফাঁসি কার্যকরের আগে দুই আসামিকে তওবা পড়ান কারা মসজিদের ইমাম মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম। এর পর ১০টার আগেই তাদের ফাঁসির মঞ্চের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে একই মঞ্চে এক সঙ্গে একই সময় দুই আসামীর ফাঁসি কার্যকর হয়। ১০টা ১ মিনিট থেকে ১০ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত তাদের দঁড়িতে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এর পর কূপ থেকে লাশ বের করে মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাদের হাত-পা ও ঘাড়ের রগ কাটা হয়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে। জাহাঙ্গীরের লাশ পাঠানো হয়েছে নগরীর মতিহার থানার খোঁজাপুরে। আর মহিউদ্দিনের লাশ পাঠানো হয় ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার গ্রামের বাড়িতে।

এর আগে গত ২৫ জুলাই দুই আসামির পরিবারের সদস্যরা তাদের সঙ্গে শেষ সাক্ষাত করেছেন। জাহাঙ্গীরের পরিবারের ৩৫ সদস্য তার সঙ্গে দেখা করেন। আর মহিউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে তার পরিবারের ৫ সদস্য। এর পর তাদের পরিবারের আর কেউ দেখা করতে পারেনি।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট