1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৪ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৩৯৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রাজশাহীর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ তীব্র আকার ধরণ করেছে। যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে এমন আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

টানা তাপপ্রবাহে তাই রাজশাহী জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ছেদ ঘটেছে স্বাভাবিক কাজকর্মেও। অফিস-আদালত বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান; কোথাও স্বস্তি নেই। বিশেষ করে পথে-ঘাটে কাজ করা শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। রুটি-রুজির তাগিদে আগুনমুখো আবহাওয়া উপেক্ষা করেই তাদেরকে হাড় ভাঙা পরিশ্রম করে যেতে হচ্ছে। মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরাও নিদারুণ কষ্টে একেকটি উত্তপ্ত দিন পার করছে।

সাধারণত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকেই তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় মৃদু তাপপ্রবাহ। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, গত ৪ এপ্রিল থেকে মূলত রাজশাহীতে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এদিন রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৯ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১০ এপ্রিল রেকর্ড করা হয় ৩৮ ডিগ্রি ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আর ১১ এপ্রিলও রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১২ এপ্রিল বিকেল ৩টায় রাজশাহী সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ ১৩ এপ্রিল সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রী ৬ দশমিক সেলসিয়াস। এটি এখন চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

আব্দুস সালাম বলেন, রাজশাহীতে তাপপ্রবাহের সাথে সাথে দুপুর গড়াতেই কমে যাচ্ছে বাতাসের আদ্রতাও। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় রাজশাহীতে বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ। বাতাসের আদ্রতা কমে যাওয়ার কারণে মানুষের শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। রোজা থাকার কারণে কেউ পানি পান করে সেই ঘাটতিও পূরণ করতে পারছেন না। এতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীরা বেশি কষ্ট ভোগ করছেন। এই কাঠফাটা গরমেও মানুষের ঠোট ফাটছে, হাত পাও ফেটে যাচ্ছে। এই অবস্থায় শিশু ও বৃদ্ধদের ছায়ায় থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া ইফতারের সময় ডায়াবেটিস রোগীদের পরিমত পরিমাণে খেজুর খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন।

রাজশাহীর বিশিষ্ট ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, এমন তাপপ্রবাহে সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের বেশি সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই শারীরিক সমস্যা থাকলে তাদের রোজা না থাকাই ভালো। আর যারা রোজা রাখতে পারছেন, তাদেরকে ইফতারের পর থেকে সাহরি পর্যন্ত বেশি পরিমাণে পানি ও পানীয় জাতীয় ফলমূল খেতে হবে। এছাড়া তেল ও চর্বি জাতীয় সব খাবার সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট