রাজশাহীসহ সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভেঙে দিলে কিংবা চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হলে তৃণমূলে সরকারি সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে। গ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের (মেম্বার) অপসারণ না করার দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন হয়েছে।
বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ এসোসিয়েশন রাজশাহী গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান সদস্য মেম্বারসহ রাহী এলাকার শত শত মানুষ আজ সোমবার সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে মানববন্ধন করেন।
বক্তব্যে তারা বলেন, আমরা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছি। তৃণমূলের উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিতে সব সময় সাম্যের ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করে আসতেছি।
গোদাগাড়ী ১নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসিদুল গনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমস্ত নির্দেশনা পালন করে যাচ্ছি।
দ্বিতীয় স্বাধীন বাংলাদেশে জনগণের প্রাপ্য সকল সরকারি সেবা আমরা তৃণমূলে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।
বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারছি, সরকার ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। এতে ভেঙে পড়তে পারে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম ও সরকারের জনকল্যাণমুখী উদ্যোগ। আমরা মনে করি এতে তৃণমূলের নাগরিক সেবা ব্যাহত হবে।
বক্তব্যে আরও বলেন, যাচাই বাছাই করে জনবান্ধব জনপ্রতিনিধিদের বহাল রেখে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা হোক।
ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দেয়া হলে জাতীয়তা সনদ,জন্ম নিবন্ধন সনদ,মৃত্যু নিবন্ধন সনদ,ওয়ারিশান সার্টিফিকেট, প্রত্যয়নপত্র,নাগরিকত্ব সনদ,ট্রেড লাইসেন্স, বিভিন্ন ভাতাদি ও সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা কার্ড পেতে ভোগান্তি বাড়তে পারে। এতে সামাজিক ন্যায়বিচার ব্যাহত হবে।
এমতাবস্থায় জনস্বার্থ বিবেচনায় অপসারণ না করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধা করছি। তিনি আরও বলেন প্রশাসক নিয়োগ দিলে সেটি স্থানীয় সরকারের জন্য কতটুকু ভালো হবে আমরা জানিনা কারণ, প্রশাসকেরা স্থানীয় মানুষ নন। তাঁরা সবকিছু চিনবেন না।
গোদাগাড়ী মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলাম সহ উপজেলার গণ্যমান্য ব্যাক্তি বর্গগণ চেয়ারম্যান ও মেম্বার অপসারণ না করার অনুরোধ জানিয়ে বক্তব্য শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যোলায়ে তারা স্মারক লিপি জমা দেন।
Leave a Reply