আজ জানুয়ারির ২৮, আর মাঘের ১৪ তারিখ। সপ্তাহ দুয়েক পরেই বৈচিত্র্যময় ফাল্গুন মাস। মাস দুয়েক বাদে আসছে পবিত্র রমজান মাস। এপ্রিলের ২১ থেকে ২৪ তারিখ পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি। রমজান মাস ধর্মীয় দিক থেকে যেমন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এটি ব্যবসা-বাণিজ্যেরও মাস। সারা বছর ব্যবসায়ীরা মুখিয়ে থাকে রমজান মাসের জন্য। কবে আসবে রমজান মাস।
এ মাসে ব্যবসায়ীদের, বিশেষ করে ভোগ্যপণ্য ও বস্ত্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা হয় সারা বছরের। এক মাসের বেচাকেনায় ব্যবসায়ীরা প্রচুর মুনাফা ঘরে তোলেন। এ মাসে ভোগ্যপণ্য, জামাকাপড় ইত্যাদির ভোগ/ব্যবহার প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, রসুন, খেজুর, ময়দা, ছোলা, চিনি ইত্যাদির বাজার থাকে রমরমা। শপিংমলগুলো সাজে নতুনরূপে গ্রাহকদের স্বাগত জানানোর জন্য। বেচাকেনার এই ধুমের মধ্যেই বয়ে চলে আনন্দের বন্যা। আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই রোজা শেষে অপেক্ষা করে পবিত্র ঈদ উৎসবের জন্য।
এবারের রমজান একটু ভিন্ন। করোনার কারণে গেল দুবছর ছিল অস্বাভাবিক বছর। এবার মোটামুটি করোনামুক্ত বাংলাদেশ। কাজেই উৎসাহ-উদ্দীপনা বেশ একটু বেশি। কিন্তু সমস্যা অন্যত্র। মানুষের আর্থিক অবস্থা আগের মতো সচ্ছল নয়। করোনার পর এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এও প্রায় এক বছর হয়ে গেল। সারা বিশ্বের ত্রাহী ত্রাহী অবস্থা। করোনায় যে ধস নামেনি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে তা নেমেছে। সাপ্লাই চেইন বিঘ্নিত। তেল, গ্যাস, জ্বালানি, নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী।
দেশে দেশে নজিরবিহীন মূল্যস্ফীতি। বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো দিশেহারা-কীভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আমাদেরও একই অবস্থা। সরকারের রাজস্ব আশানুরূপ নয়। ব্যাংকে ব্যাংকে তারল্য সংকট-ক্যাশের অভাব। ডলারের তীব্র সংকট চলছে। টাকা দিয়েও ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। ৮৬-৮৮ টাকার ডলারের দাম উঠেছে ১০৬-০৭ টাকায়। সরকার উপায়ান্তর না দেখে আমদানি খরচ কমানোর জন্য অপ্রয়োজনীয় জিনিসের আমদানির ওপর নানা বিধিনিষেধ জারি করেছে। বড় বড় ঋণপত্র ‘স্ক্রুটিনি’ করে দেখা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্থির করেছে, মোটামুটি রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের টাকা দিয়েই আমদানি ব্যবসা চালানো হবে। এতে আমদানির পরিমাণ, ঋণপত্র খোলার পরিমাণ বেশ হ্রাস পেয়েছে। এক হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বরে ঋণপত্র খোলার পরিমাণ প্রায় ২২-২৩ শতাংশ কমেছে। এ ঋণপত্র খোলা কমেছে মধ্যবর্তী পণ্য, কাঁচামাল, মূলধনী যন্ত্রপাতি, বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার যন্ত্রপাতি, পেট্রোলিয়াম এবং বিবিধ পণ্যের ক্ষেত্রে। শুধু তাই নয়, ঋণপত্র খোলার পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রেও। এটাই এখন বড় দুশ্চিন্তার বিষয়। কারণ সামনে রোজা।
এখনই ভোগ্যপণ্য আমদানির ঋণপত্র খোলার সময়। এখন ঋণপত্র না খুলতে পারলে পণ্য এসে পৌঁছাবে কবে? দেখা যাচ্ছে, বেশকিছু পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এসে পৌঁছেছে, কিন্তু ডলারে দাম পরিশোধ করা যাচ্ছে না বলে তা খালাস করা যাচ্ছে না। যেসব ব্যবসায়ী নানা ধরনের ভোগ্যপণ্য আমদানি করেছেন, তারা এখন প্রমাদ গুনছেন। তাদের গুনতে হচ্ছে ‘ডেমারেজের’ টাকা। এতে পণ্যের দাম যে আরও বাড়বে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ঋণপত্র সংকট, ডলার সংকট এমন এক পর্যায়ে গেছে যে, এবারের রমজান উপলক্ষ্যে ব্যবসায়ীরা যে ব্যবসা করার কথা ভেবেছিলেন, তার আশা ধীরে ধীরে বিলীন হচ্ছে। অবস্থাটা কী তা বোঝার জন্য খবরের কাগজের কয়েকটি শিরোনামের আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে। যুগান্তরের একটি স্টোরির শিরোনাম করা হয়েছে, ‘জরুরি আমদানি ছাড়া মিলছে না ডলার’। আরেকটি কাগজের একটি স্টোরির শিরোনাম ‘ভোগ্যপণ্যের আমদানি কমায় রমজানের বাজার নিয়ে শঙ্কা’। যুগান্তরের ভিন্ন একটি স্টোরির শিরোনাম হচ্ছে, ‘রোজায় আমদানি পণ্যের দাম বেশি থাকবে ৩০ ভাগ’।
এ তিনটি শিরোনাম পড়লেই অবস্থার ভয়াবহতা বোঝা যায়। স্টোরিগুলোতে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোতে ডলার সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ডলারের জোগান কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। জরুরি পণ্য ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার ছাড়ছে না। শুধু ভোগ্যপণ্য, শিশুখাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ডলারের জোগান দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে অন্য পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব উদ্যোগে ডলারের সংস্থান করে এলসি খুলতে হবে।
বৈদেশিক মুদ্রার উৎস রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স, অনুদান ও বিনিয়োগের টাকা। এসব ক্ষেত্রেই একটা ভাটা লক্ষ করা যাচ্ছে। ডলার সংকট, আমদানি সংকটের কারণে খোলাবাজারে রোজার মাসে ভোগ্যপণ্যের জন্য ৩০ শতাংশ বেশি মূল্য দিতে হবে, যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম নিুমুখী। এতদসত্ত্বেও এটি ঘটবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের একজন কর্মকর্তা। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে একটা আশার আলো আছে বলে জানা যাচ্ছে। কারণ রোজার আগে/রোজার সময়ে বাজারে নতুন পেঁয়াজ উঠবে। অতএব, কিছুটা স্বস্তি এক্ষেত্রে আমরা পেতে পারি।
কিন্তু কাগজে দেখলাম আদা-রসুনের দাম ইতোমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে। বহু ব্যবসায়ী-আমদানিকারক এখনই পণ্য স্টক করতে শুরু করেছে অতিরিক্ত মুনাফার আশায়। বলা বাহুল্য, ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে আমরা ভীষণভাবে আমদানির ওপর নির্ভরশীল। বাজারে গেলেই দেখা যায় প্রায় প্রতিটি ভোগ্যপণ্য দুই ধরনের-দেশি ও বিদেশি। এর কারণ, আমাদের উৎপাদন এসব ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। ফলে ঋণপত্র খুলে এসব আমদানি করতে হয়। ঋণপত্রের জন্য দরকার ডলার। অথচ সেই ডলারই মিলছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কোনদিকে যাবে? শিল্পের কাঁচামাল দরকার, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিও বন্ধ করা যায় না।
মধ্যবর্তী পণ্যও আমদানি করা দরকার। ভোগ্যপণ্য তো দরকারই। অথচ এসব আমদানির জন্য যে ডলার দরকার, তা বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে নেই। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত নিচের দিকে নামছে। বলা হচ্ছে, এখন আমাদের তিন মাসের আমদানির সমপরিমাণ রিজার্ভ আছে। এটা মোটামুটি সন্তোষজনক পরিস্থিতি। কিন্তু তা আরও নেমে গেলে দুটি ঘটনা ঘটবে। ডলারের দাম আরও বেড়ে যাবে। আবার বিদেশি ব্যাংকগুলো আমাদের দেশীয় ব্যাংকের ঋণপত্র গ্রহণ করতে চাইবে না। বিদেশি ব্যাংকগুলোর ‘গ্যারান্টি’ চাইবে। এতে আমদানির খরচ আরও বেড়ে যাবে। এবং ডলার যদি পাওয়াও যায়, ব্যাংকগুলোকে ‘ক্যাশ’ দিয়ে সেই ডলার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কিনতে হবে।
কিন্তু বাজারে যা দেখা যাচ্ছে, তাতে এটা পরিষ্কার যে বহু ব্যাংকের কাছে নগদ টাকা নেই। তাদের আমানত আগের মতো বাড়ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক এ কারণে আমানতের ওপর সুদের হারের যে ‘ক্যাপ’ ছিল তা তুলে নিয়েছে। কিন্তু বিপরীতে ঋণের ওপর সুদের হারের ‘ক্যাপ’ তোলা হয়নি। এ অবস্থায় বেশি দরে আমানত নিয়ে কম দরে ঋণ দিতে গিয়ে ব্যাংকগুলো পড়বে আরও বিপদে।
এই যে সংকট দেখা দিয়েছে, এর মধ্যেই পবিত্র রমজান মাস আসছে। ব্যবসায়ীরা যেমন তাদের ব্যবসা নিয়ে, মুনাফা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন, তেমনি ভোক্তারাও আছেন ভীষণ দুশ্চিন্তায়। এবারের রমজান শান্তিতে কাটবে তো? পেঁয়াজ, রসুন, আদা, সয়াবিন, খেজুর, চিনি, দুধ ইত্যাদি ন্যায্যমূল্যে পাওয়া যাবে তো? জামাকাপড়, জুতা-মোজা, শাড়ি-ব্লাউজ ইত্যাদির বাজার লাভজনক থাকবে তো?
এ অবস্থায় একমাত্র ভরসা কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারা যদি পর্যাপ্ত ডলার বিশেষ বিবেচনায় না দেয়, তাহলে এবার রোজার বাজারে, ঈদের বাজারে এক মন্দা নেমে আসবে। যারা ধনী-অতিধনী, তারা হয়তো উচ্চমূল্যে জিনিস কিনে রোজায় তাদের চাহিদা মেটাবেন, কিন্তু সাধারণ মানুষ ও মধ্যবিত্ত পড়বে চরম বিপদে। অথচ উপলক্ষ্যটি সাধারণ নয়-পবিত্র রমজান। বলা যায়, এখনো সময় আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে যদি ডলারের ব্যবস্থা করতে পারে. তাহলে আমদানিকারকরা ঋণপত্র খুলতে পারবে।
কাগজে দেখলাম, বাংলাদেশ ব্যাংক ভোগ্যপণ্য আমদানিতে ‘সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট’ এবং ‘বায়ার্স ক্রেডিটে’র অনুমতি দিয়েছে। ব্যবসায়ী/আমদানিকারকরা এই অল্প সময়ের মধ্যে এ দুই ধরনের ক্রেডিট আন্তর্জাতিক বাজার থেকে জোগাড় করতে পারবে? বড় প্রশ্ন। কিন্তু প্রশ্ন আরও আছে। ‘সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট’ অথবা ‘বায়ার্স ক্রেডিট’ যাই বলা হোক না কেন, এসব হবে আন্তর্জাতিক ঋণ, যা আবার ডলার দিয়ে পরিশোধ করতে হবে।
এখানে প্রশ্ন, আমাদের বিদেশি ঋণের অবস্থা কী? যে ঋণ বর্তমানে আছে, তারপর কি আরও ঋণ নিয়ে আমরা তা পরিশোধ করতে পাারব সময়মতো? তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সালে আমাদের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৫০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ১০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার ছিল স্বল্পমেয়াদি ঋণ এবং বাকিটা ছিল দীর্ঘমেয়াদি ঋণ। ২০২১ সালে এ বৈদেশিক ঋণ হঠাৎ বেড়ে উন্নীত হয় ৯০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে। এর মধ্যে ১৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার ছিল স্বল্পমেয়াদি এবং বাকিটা দীর্ঘমেয়াদি। একটি কাগজের গত ৮ অক্টোবরের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, আমাদের বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরাও বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে ঋণ নিয়েছেন। ২০২২ সালের জুন শেষে তাদের মোট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। বলা বাহুল্য, জিডিপির অনুপাতে আমাদের বিদেশি ঋণ খুব বেশি নয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বিদেশি ঋণ দিন দিন বাড়ছে।
উপরের হিসাবেই দেখা যাচ্ছে, মাত্র চার বছরে আমাদের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪০ বিলিয়ন ডলার। এ ঋণের পরিমাণ যেমন ক্রমেই বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে আসল ও সুদ পরিশোধের পরিমাণ। ৪-৫ বছর পর আসল ও সুদ পরিশোধের পরিমাণ বহু বাড়বে বলে জানা যাচ্ছে। অসুবিধা হচ্ছে, এই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হবে ডলারে, যার প্রবাহ এখন কম। আগামী দিনে খুব বেশি বাড়বে বলে আশা করা যায় না। অনেকেই এ জন্য বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে এখনই কঠোর অবস্থান নিতে পরামর্শ দিচ্ছেন। ঋণ পেলেই যে ঋণ নেওয়ার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে, তা বন্ধ করা দরকার। ঋণের টাকা দিয়ে যেসব প্রকল্প করা হচ্ছে সেগুলোর লাভপ্রদতা নিয়েও প্রশ্ন আছে। অথচ সেসব প্রকল্প থেকে নিয়মিত ও আশানুরূপ রিটার্ন না এলে বিদেশি ঋণ শোধ হবে কী করে? এ ছাড়া প্রশ্ন রয়েছে অভ্যন্তরীণ ঋণের ক্ষেত্রেও।
তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সাল এবং ২০২২-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ বেড়েছে প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্যাংক খাত ও সঞ্চয়পত্র-এই মোট তিনটি খাতে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ছিল ৪ লাখ ১৪ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা। ২০১৭ সালের তুলনায় বৃদ্ধির পরিমাণ ৭৪ শতাংশ। দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে, সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রচুর পরিমাণে ঋণ নিচ্ছে। এর পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ছে। তাই প্রশ্ন, বৈদেশিক ঋণ এবং অভ্যন্তরীণ ঋণ যেভাবে বাড়ছে, সরকারি আয় কি সেভাবে বাড়ছে? কীভাবে এসব ঋণ শোধ হবে? বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ বাড়লে মূল্যস্ফীতি তো আরও বাড়বে।
লেখক : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Leave a Reply