সরকারের দেওয়া চিঠির যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিতে না পারলে আপাতত ফেসবুক-টিকটকসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধই থাকবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ফেসবুক, টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিধিরা যৌক্তিক ব্যাখ্যা না দেওয়া পর্যন্ত এসব খুলে দেওয়ার ব্যাপারে বর্তমান সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে সরকার।
সহিংসতার কনটেন্টগুলোর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সে বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। ৩১ জুলাই ফেসবুক, টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিধিদের বিটিআরসিতে তলব করা হয়েছে। সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে। ব্যাখ্যা না দেওয়া পর্যন্ত ফেসবুক-টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়া খুলে দেওয়ার ব্যাপারে বর্তমান সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে সরকার।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৬ জুলাই থেকেই শুরু হয় মোবাইল ইন্টারনেটের ধীরগতি। এরপর সহিংসতা ও গুজব প্রতিরোধ করতে সরকারের মৌখিক নির্দেশে ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে বন্ধ হয়ে যায় মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সিমে থ্রি-জি ও ফোর-জি পরিষেবা। আর মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ডাটা সেন্টারে আগুনের ঘটনায় রাত থেকে বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। এর ফলে সারাদেশেই তৈরি হয় ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের। সবশেষ পাঁচদিন পর গত ২৩ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট।
Leave a Reply