মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আসন্ন ২১ জুন রাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করার জন্য রোববার দুপুরে পদত্যাগ করেন।
সরকার কর্তৃক তার পদত্যাগপত্রটি গৃহীত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ (সিটি কর্পোরেশন-২) এর উপ-সচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে পদত্যাগপত্রটি গৃহীত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ৩০ জুলাই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। রাসিকের রাজস্ব খাতে প্রায় শতকোটি টাকা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ২১ মে ২০২৩ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব খাতের তহবিলে প্রায় ৪০ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত রেখে পদত্যাগ করলেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
এদিকে, শেষ কর্মদিবস উপলক্ষ্যে রোববার রাত সাড়ে ৮টায় নগর ভবনে মেয়র দপ্তর কক্ষে সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বিদায়ী সভা করেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। রাত ৯টায় নগর ভবন থেকে বেরিয়ে যান এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম শরীফ উদ্দিন, সচিব মশিউর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ নূর-ঈ সাঈদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মামুন ডলার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত মেয়র কর্তৃক দায়িত্ব গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশনের সকল প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিনকে অর্পণ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ (সিটি কর্পোরেশন-২) এর উপ-সচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই আদেশ জারি করা হয়।
Leave a Reply