এক দশক ধরে যে প্রতিষ্ঠানটি অসহায় বৃদ্ধদের নির্ভরতার স্থান ছিল, আজ সে প্রতিষ্ঠান অনেকটাই নীরব আর সুনসান। প্রতারণার অভিযোগে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তারের পর একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেছে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের দরজা।
কথা হয় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের নিরাপত্তাকর্মী রাসেলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ডিবি পুলিশ এখানে সবার জন্য প্রবেশ নিষেধ করে দিয়েছে। হয় ডিবি থেকে অনুমতি আনতে হবে, অথবা প্রশাসনসহ এখানে প্রবেশ করতে হবে। যতদিন অবধি সমস্যার সমাধান না হবে ততদিন অবধি এই নিয়মে চলবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, আমরা এতদিন মিল্টন সমাদ্দারের ব্যাপারে এতকিছু জানতাম না। যেসব অপরাধের বিষয়ে বলা হচ্ছে সেগুলো আমাদের ধারণায় ছিল না। তিনি এখানে আশ্রম পরিচালনা করতেন এতটুকুই জানতাম। তবে তার খারাপ আচরণের বিষয়টি এখানকার ছোট-বড় সবাই জানেন। কারণ প্রায়শই আশ্রমে আসা দর্শনার্থী কিংবা লোকজন খারাপ আচরণের অভিযোগ করতেন। এমনকি আত্মীয়-স্বজন পরিচয় দিলেও অনেক সময় দেখা করতে দেওয়া হতো না। এসব কিছু আমরা স্থানীয় দোকানি হিসেবে জানতাম। আর এখন পত্রপত্রিকায় নিউজ হওয়ার পর বাকি বিষয়গুলো জেনেছি।
এর আগে, বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরদিন বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরাও। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।
Leave a Reply