মারওয়া পাহাড়ে সপ্তম ধাপ শেষ করে মাথার চুল ছাঁটলেই আপনার ওমরাহ শেষ হবে। নারীরা মাথার চুলের যেকোনো অংশ থেকে এক ইঞ্চির মতো কাটবেন আর পুরুষেরা চুল একেবারে ছোট বা পুরোটাই ফেলে দিতে পারেন। এ সময় অনেকেই কাঁচি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন চুল কাটার জন্য; তাঁদের কাছে বা এখানে চুল ছাঁটার দরকার নেই; নারীরা হোটেলে যান, স্বামী বা মাহরাম চুল কেঁটে দেবেন আর পুরুষেরা নাপিতের কাছে গিয়ে এ কাজ করে নিন। ক্লক টাওয়ারের বেজমেন্ট ও নিচের ফ্লোরে অনেক সেলুন আছে।
চুল ছাঁটাই শেষ, আলহামদুলিল্লাহ আপনার ওমরাহ শেষ; গোসল করুন, পরিষ্কার হোন, স্বাভাবিক কাপড় পরুন। এখন সুগন্ধি লাগানো জায়েজ, স্বামী-স্ত্রীর সহবাসও জায়েজ।
হজ
তামাত্তু হজে আপনি ওমরাহ ও হজের মধে্য একটি বিশ্রাম বা গ্যাপ পাবেন। গ্যাপ শেষ হলে এবার হজের জন্য প্রস্তুত হন। আর আপনাকে এ জন্য তৈরি করতে হবে দুটি ব্যাগ; একটি ছোট ব্যাগ ও অন্যটি ছোট ব্যাগপ্যাক (কাঁধের ব্যাগ)। ছোট ব্যাগটি মিনার জন্য আর ব্যাগপ্যাকটি মুজদালিফার জন্য।
এই কয়েক দিন আপনাকে মক্কা থেকে মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা ও জামারায় যেতে হবে এবং নিয়ম মেনে কিছু কাজ সম্পাদন করতে হবে। আপনার এজেন্সি এই জায়গাগুলোতে আপনাকে নিয়ে যেতে অবশ্যই বাসের ব্যবস্থা করবে। ভিআইপি প্যাকেজে অবশ্য গাড়ির ব্যবস্থাও থাকে। তবে অনেক মুসল্লি সওয়াব অর্জনের জন্য, এই পথ পুরোনো যুগের মতো হেঁটে অতিক্রম করেন। তবে উত্তম হলো আপনার এজেন্সি বা কাফেলার সঙ্গে থাকা এবং তারা যেভাবে বলে, সেভাবে অনুসরণ করা। দল থেকে ছুটে গেলে বিপদে পড়তে পারেন।
যা–ই হোক, জেনে নিন, কোন জায়গা থেকে কোন জায়গার দূরত্ব কতটুকু:
মক্কা থেকে মিনা: ৮ কিলোমিটার
মিনা থেকে আরাফাত: ১৩ কিলোমিটার
আরাফাত থেকে মুজদালিফা: ৯ কিলোমিটার
মুজদালিফা থেকে মিনা: ৪ কিলোমিটার
মিনা থেকে জামারাত: ১ থেকে ৩ কিলোমিটার
যাত্রার শুরু থেকেই তালবিয়া পড়া শুরু করুন; বার বারতালবিয়া পড়ুন; পুরুষেরা উচ্চ স্বরে পড়ুন।
‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক; লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ানি মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।
অর্থ: আমি হাজির, ও আল্লাহ আমি হাজির; এই যে আমি। আর তোমার কোনো শরিক নেই; আমি হাজির। সমস্ত প্রশংসা ও কর্তৃত্ব শুধু তোমারই, আর তোমার কোনো শরিক নেই।
এবার হজের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিই। হজ পালনে রয়েছে কিছু কাজ, যা হলো হজের ফরজ। আর বেশ কিছু কাজ রয়েছে, যেগুলো হজের ওয়াজিব। হজের ফরজগুলো আদায় না করলে হজ হবে না এবং ওয়াজিবগুলো আদায় না করলে ‘দম’ বা ‘পশু জবাই’ দিতে হবে।
Leave a Reply