শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সদ্য বিলুপ্ত সংসদের সদস্য ও মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
পাপন ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন পরিচালক এখন সামনে আসছেন না। এ অবস্থায় সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে বিসিবির ভবিষ্যৎ করণীয় ঠিক করার চেষ্টা চলছিল কয়েকদিন ধরেই, এর মধ্যেই জানা গেছে- বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়তে রাজি হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবি সূত্রে জানা যায়, একজন পরিচালককে নিজের এই ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন তিনি।
যদিও মৌখিকভাবে বললেই হবে না, দায়িত্ব ছাড়তে চাওয়ার কথা লিখিতভাবে জানাতে হবে পাপনকে। বোর্ডের প্রধান নির্বাহীর মাধ্যমে একটি সভা ডেকে সেটি অনুমোদনও করাতে হবে।
এরপর বিসিবির ভবিষ্যৎ কী হবে?
এক্ষেত্রে কয়েকটি বিকল্প পথ রয়েছে। বর্তমানে যে পরিচালকরা আছেন, তাদের মধ্যে থেকে একজন সভাপতি বেছে নেওয়া সম্ভব। এ প্রক্রিয়ার জন্য অন্তত ৯ জন পরিচালককে সভায় উপস্থিত থাকতে হবে। সংখ্যায় এতজন পরিচালক এখনও সরব আছেন।
যদি তাদের সরকারের পক্ষ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা নেমে আসতে পারে। এক্ষেত্রে এক যোগে পদত্যাগ করতে পারেন বিসিবির সব পরিচালক। তখন একটি অন্তর্বর্তী বোর্ড তৈরি করা হবে, যাদেরকে বেধে দেওয়া হতে পারে নির্বাচন আয়োজনের সময়সীমা।
তবে অক্টোবরে বাংলাদেশের মাটিতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা রয়েছে। এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে যেন কোনো বাধা না আসে, সেদিকেই এখন বোর্ডের সব নজর। বিসিবির সব পরিচালক একসঙ্গে পদত্যাগ করলে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে, বিশ্বকাপও চলে যেতে পারে ভিন্ন দেশে; এটি মাথায় রেখেই কাজ করছেন বিসিবির সংশ্লিষ্টরা।
Leave a Reply