বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটিতে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। জানা গেছে, সেই চোটে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হয়ে গেছে। এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ের সময় বাঁ-হাতের আঙুলে চোট পান সাকিব। এরপরও নিজের বোলিং কোটা পূরণ করেন, তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ ২টি উইকেট। এরপর ব্যাট হাতে খেলেন ৮২ রানের দারুণ এক ইনিংস।
ম্যাচ শেষে পাওয়া এক্স-রে রিপোর্ট বলছে তার আঙুলে চিড় ধরেছে। তিনি পরের ম্যাচ খেলতে পারবেন না। ফলে এবারের বিশ্বকাপ তার জন্য এখানেই শেষ হয়ে গেল। আজ মঙ্গলবার দেশে ফিরে আসছেন তিনি।
সাকিবের ইনজুরি নিয়ে জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজীদুল ইসলাম বলেন, ‘ইনিংসের শুরুতে সাকিব তার বাঁ হাতের তর্জনীতে আঘাত পান। পরে হাতে টেপ পেঁচিয়ে ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে তিনি ব্যাটিং চালিয়ে যান।’
বিশ্বকাপ চলাকালে এর আগেও একবার ইনজুরিতে পড়েছিলেন সাকিব। মিস করেন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ।
‘ম্যাচ শেষে দিল্লিতে তার হাতে জরুরি এক্স-রে করা হয়। সেখানে দেখা যায় তার বাঁ হাতের পিপ জয়েন্টে চিড় ধরেছে। সুস্থ হতে সাকিবের তিন থেকে চার সপ্তাহ লাগবে। আজকেই পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে দেশে ফিরে যাচ্ছেন সাকিব’, যোগ করেন বিসিবির ফিজিও।
সাকিবের ইনজুরির ফলে বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়ককে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। আগামী ১১ নভেম্বর টাইগাররা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে। টুর্নামেন্টজুড়ে বড় ইনিংস খেলতে না পারা সাকিব গতকালই প্রথম ফিফটি পেয়েছিলেন। অলরাউন্ড নৈপুণ্যের কারণে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
চলতি বিশ্বকাপের শুরুতেও একবার চোটে পড়েছিলেন সাকিব। ফুটবল নিয়ে দলের অনুশীলন চলাকালে তিনি পায়ে ব্যথা পান। যদিও প্রস্তুতি ম্যাচে না থাকা বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার বিশ্বকাপের শুরুর তিন ম্যাচ খেলেছেন। পরে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচে আবারও চোট পান সাকিব। এরপর ভারতের সঙ্গে ম্যাচটিতে তিনি একাদশে ছিলেন না।
বিশ্বকাপ চলাকালে এর আগে ২৫ অক্টোবর ঢাকায় এসেছিলেন সাকিব। তার সেই সফর নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। পরে জানা যায়, রানখরায় ভোগায় শৈশবের কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করতে তিনি পা রাখেন ঢাকায়। তিনি ফাহিমের অধীনে দুদিন মিরপুুরে অনুশীলনও করেন। পরে তিন দিনের ছুটি সংক্ষিপ্ত করে দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় কলকাতায় দলের সঙ্গে যোগ দেন টাইগার অধিনায়ক।
Leave a Reply