হাড় না কাঁপিয়েই বিদায় নিয়েছে শীতকাল। জানুয়ারির অল্প কয়েক দিন দেশের কিছু অংশে বিরাজ করছিলো মৃদু ও মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ। এরপর থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। তাই বলাই যায়, শীত বিদায় নিয়েছে।ঢাকায় এখন শীতের অনুভূতি নেই বললেই চলে। এদিকে, দেশের দুই বিভাগে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ধারাও অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। একদিন আগে সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৬ থেকে হয়েছে ১৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
ভোর থেকে দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, এ সময়ে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল টেকনাফে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Leave a Reply