নিরাপত্তার স্বার্থে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলা ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। বান্দরবান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির স্বাক্ষরিত একটি গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৪ মার্চ থেকে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি স্থানীয় ও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হলো। জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে রোয়াংছড়ি, রুমা এবং থানচি উপজেলা ব্যতীত অন্যান্য উপজেলায় পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, বান্দরবানে আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বান্দরবানে আগত পর্যটকদের নিষেধাজ্ঞায় থাকা তিন উপজেলা ভ্রমণে না আসার অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বম সম্প্রদায়ের কিছু বিপথগামী যুবক কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে তাদের আশ্রয়ে সশস্ত্র প্রশিক্ষণে যুক্ত হয় সমতল থেকে আসা নব্য জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার বেশ কিছু সদস্য। তাদের নির্মূলে গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে পাহাড়ে অভিযান চালাচ্ছেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।
এ অভিযানে এখন পর্যন্ত পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের ১৭ জন নেতা ও সদস্যসহ সর্বমোট ৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়। অন্যদিকে গত রোববার (১২ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে রোয়াংছড়ি উপজেলার রনিনপাড়া-পানখিয়াং পাড়ার মধ্যবর্তী এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর গুলিবর্ষণ করে কেএনএফের অস্ত্রধারীরা। এ সময় তাদের গুলিতে এক সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়। এছাড়াও দুইজন সেনা সদস্য গুলিবিদ্ধ হন।
Leave a Reply