সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাবেন প্রায় ৭ হাজার শিক্ষক। এরই অংশ হিসেবে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
সহকারী শিক্ষক পদটি রাজস্ব খাতভুক্ত। জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিইডিপি-৪-এর আওতায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য এই পদে জনবল নেওয়া হবে।
রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের সবগুলো জেলার সব উপজেলা বা থানার স্থায়ী নাগরিকরা এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। মাসিক বেতন ধরা হবে জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৩তম গ্রেডে (১১০০০-২৬৫৯০ টাকা)।
পুরুষ ও নারী উভয় প্রার্থীরাই আবেদনের সুযোগ পাবেন।
♦ যোগ্যতা: যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ (৪ স্কেলে ন্যূনতম ২.২৫ ও ৫ স্কেলে ন্যূনতম ২.৮) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।
বয়স: ২৪ মার্চ ২০২৩ তারিখে সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ বয়স হবে ২১-৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের আবেদনকারীর ক্ষেত্রে ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ বয়স হবে ২১-৩২ বছর। বয়স নিরূপণের ক্ষেত্রে এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ শাখার ২২.০৯.২০২২ তারিখের ০৫.০০.০০০০.১৭০.১১.০১৭.২০-১৪৯ নং স্মারক মোতাবেক ২৫.০৩.২০২০ তারিখে যেসব প্রার্থীর বয়স সর্বোচ্চ বয়সসীমার মধ্যে ছিল সেসব প্রার্থীও আবেদন করতে পারবেন।
♦ আবেদন করতে হবে অনলাইনে (http://dpe.teletalk.com.bd) ১০ মার্চ ২০২৩ সকাল ১০.৩০টা থেকে ২৪ মার্চ ২০২৩ রাত ১১:৫৯টার মধ্যে।
♦ অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের যাবতীয় নির্দেশনা পাওয়া যাবে। নির্দেশনা অনুসরণ করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
♦ আবেদন ফি জমার আগে ‘ড্রাফট অ্যাপ্লিকেন্ট কপি’ একাধিকবার পড়ে প্রার্থী তার প্রদত্ত তথ্যের যথার্থতা সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন। কোনো ভুল হলে তার বিপরীতে আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে না এবং এই বিজ্ঞপ্তির ৩ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসরণ করে নতুন করে ‘অ্যাপ্লিকেশন ফরম’ সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণপূর্বক নতুন ‘ইউজার আইডি’সংবলিত ‘আনপেইড’ স্ট্যাটাস সম্পন্ন ‘ড্রাফট অ্যাপ্লিক্যান্টস কপি’র প্রিন্ট নিয়ে পুনরায় প্রদত্ত তথ্য যাচাই করতে হবে।
♦ নির্ভুলভাবে পূরণকৃত ‘অ্যাপ্লিকেশন ফরম’-এর বিপরীতে প্রদত্ত ‘ইউজার আইডি’ ব্যবহার করে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘ড্রাফট অ্যাপ্লিক্যান্টস কপিতে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণপূর্বক যেকোনো টেলিটক প্রিপ্রেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে অফেরতযোগ্য ২০০ টাকা আবেদন ফি মোট ২২০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
♦ আবেদন ফি পরিশোধের পর আবেদনে প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনকারীকে ইউজার আইডিসহ একটি পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে। এরপর http://dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের ‘Download Applicant’s Copy’ ট্যাবে ক্লিক করে মোবাইলে প্রাপ্ত ইউজার আইডি ও Password Submit করে Paid স্ট্যাটাস সম্পন্ন Final Applicant’s Copy পাওয়া যাবে। Final Applicant’s-এর রঙিন প্রিন্ট কপি নিয়োগ প্রক্রিয়ার শেষাবধি আবশ্যিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। শুধু আবেদন ফি পরিশোধের পরই আবেদনটি চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং আবেদনে আর কোনো তথ্য সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন বা একই প্রার্থীর নতুনভাবে আবেদন ফরম পূরণের সুযোগ থাকবে না।
♦ পরবর্তী সময়ে লিখিত পরীক্ষার ব্যবস্থাদি চূড়ান্ত করার পর প্রত্যেক যোগ্য আবেদনকারীকে এসএমএসের মাধ্যমে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের লিংক দেওয়া হবে, যা ব্যবহার করে আবেদনকারী পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধারের প্রয়োজন হলে উক্ত লিংকে প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে পুনরুদ্ধার করা যাবে।
♦ অনলাইন আবেদনপত্রে প্রার্থীর প্রদত্ত মোবাইল ফোন নম্বরে পরীক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় যোগাযোগ (এসএমএস) করা হবে, তাই নম্বরটি সার্বক্ষণিক সচল রাখতে হবে।
♦ আবেদনকারী যে উপজেলা/থানার স্থায়ী বাসিন্দা তার প্রার্থিতা উক্ত উপজেলা/থানার অনুকূলে নির্ধারিত থাকবে এবং তার নিয়োগসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম তদনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯-এ বর্ণিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী নির্বাচিত প্রার্থীকে নিজ উপজেলা/থানায় নিয়োগ দেওয়া হবে।
♦ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুযায়ী মেধা ক্রমানুসারে নির্বাচিত প্রার্থীদের দ্বারা প্রথমে (উপজেলা/থানাভিত্তিক) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক’-এর শূন্য পদসমূহ পূরণ করা হবে। মেধা তালিকার অবশিষ্ট প্রার্থী দ্বারা জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য রাজস্ব খাতে সৃষ্ট ‘সহকারী শিক্ষক’-এর পদসমূহ পূরণ করা হবে।
♦ বিবাহিত নারী প্রার্থীরা আবেদনে তাদের স্বামী অথবা বাবার স্থায়ী ঠিকানার যেকোনো একটিতে আবেদন করতে পারবেন। তবে এ দুটি স্থায়ী ঠিকানার মধ্যে তিনি যেটি আবেদনে উল্লেখ করবেন তার প্রার্থিতা সেই উপজেলা/থানার কোটায় বিবেচিত হবে।
♦ অসত্য/ভুয়া তথ্য সংবলিত/ ত্রুটিপূর্ণ/অসম্পূর্ণ আবেদনপত্র কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে বাতিল বলে গণ্য হবে। প্রার্থী কর্তৃক দাখিলকৃত/প্রদত্ত কোনো তথ্য বা কাগজপত্র নিয়োগ কার্যক্রম চলাকালে যেকোনো পর্যায়ে বা নিয়োগপ্রাপ্তির পরও অসত্য/ভুয়া প্রমাণিত হলে তার দরখাস্ত/নির্বাচন/নিয়োগ বাতিল করা হবে এবং মিথ্যা/ভুয়া তথ্য সরবরাহ করার জন্য তার বিরুদ্ধে আইনগত/প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তা ছাড়া আবেদনে নিজ জেলা, থানা/উপজেলা ভুল করলে তার প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে।
♦ আবেদনপত্রে পোষ্য কোটা উল্লেখ না করলে মৌখিক পরীক্ষার সময় পোষ্য কোটার স্বপক্ষে সনদ দাখিল করলেও তাকে পোষ্য কোটায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।
♦ আবেদনপত্রে পোষ্য কোটা দাবি করা সত্ত্বেও পোষ্য কোটার স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি দাখিল করতে ব্যর্থ হলে তার প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে ।
♦ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯-এর ব্যাখ্যা অনুযায়ী ‘পোষ্য’ অর্থ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োজিত আছেন বা ছিলেন—এমন শিক্ষকের অবিবাহিত সন্তান, যিনি উক্ত শিক্ষকের ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল আছেন বা তিনি জীবিত থাকলে বা চাকরিতে থাকলে সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল থাকতেন এবং উক্ত শিক্ষকের বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী বা তালাকপ্রাপ্ত কন্যা, যিনি উক্ত শিক্ষকের ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল ছিলেন বা ক্ষেত্রমতো তিনি জীবিত থাকলে অনুরূপভাবে নির্ভরশীল থাকতেন। মৌখিক পরীক্ষার সময় পোষ্য প্রার্থীদের ২৪.০৩.২০২৩ তারিখ পর্যন্ত তিনি পোষ্য ছিলেন মর্মে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত সনদ দাখিল করতে হবে। কোনো প্রার্থী উল্লিখিত সনদ দাখিল করতে ব্যর্থ হলে তার প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে।
Leave a Reply