বিজ্ঞান, গবেষণা ও প্রযুক্তিজ্ঞান ছাড়া কোনও দেশ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সমস্ত টেলিফোন সিস্টেমকে ডিজিটালাইজ করি। কম্পিউটার শিক্ষার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় দুই তিনটা কম্পিউটার দিয়ে। ছেলেমেয়েরা যাতে শিক্ষা নিতে পারে তার ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। তাছাড়া আইন পাশ করে ১২টা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ কাজ শুরু করি।
সরকারপ্রধান বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি আমরা করে গিয়েছিলাম. ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতা আসতে পারিনি আর বিএনপি সেটা বাতিল করে দেয়। ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন শিক্ষা ও গবেষণার কাজে আমরা আরও বরাদ্দ বৃদ্ধি করি। ২০১০ থেকে আমরা বিনা পয়সায় বই দেওয়া শুরু করি। অনেকে ভেবেছে যে এটা কীভাবে সম্ভব? আমরা সে অসম্ভব কাজকে সম্ভব করেছি। ২০১০ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ৪শ ৬৪ লাখ ২৯ হাজার ৮৮৩ কোটি পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে আমরা বিতরণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ৩০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৫৪টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কৃষি, ভেটেনারি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চিকিৎসা, ডিজিটাল, ইসলামি আরবি, এভিয়েশন, এরোস্পেস, বেসরকারিখাতে ফ্যাশন ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে, দেশের বিদেশের কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে বহুমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা ও উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে দিচ্ছি। কারিগরি শিক্ষা আমাদের কম ছিল সেটা আমরা বাড়িয়েছি। আমাদের সরকারি সামাজিক খাতগুলোর শিক্ষাকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেই। বাজেটে শিক্ষাখাতেই সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, কেউ সমালোচনা করলেই সেটার জন্য ভীত হয়ে যেতে হবে আমি এটা বিশ্বাস করি না। আত্মমর্যাদাবোধ ও আত্মবিশ্বাস মানুষকে শক্তি দেয়। শিক্ষার্থীদের বলবো এটাই সবসময় চিন্তা করতে হবে। কে কী বলল তার জন্য চোখের পানি ফেলে মুখ লুকাতে হবে তা না, নিজের বিশ্বাস থেকে শিখতে হবে। তাহলে এদেশকে তোমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
সরকারপ্রধান বলেন, লাখো শহীদের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি, স্বাধীনতা ব্যর্থ করার জন্য অনেক চক্রান্ত হয়েছে। সব অতিক্রম করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আরও এগিয়ে যেতে হবে। আজকের বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কিছু লোক থাকে তাদের সবসময় কোনও কিছু ভালো লাগে না। আর ভালো হতেও দিতে চায় না। তাদের পাত্তা না দিলেও চলবে। আমরা আমাদের দেশকে নিয়ে এগিয়ে যাবো। এ আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমাদের চলতে হবে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি এখন আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
Leave a Reply