1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ অপরাহ্ন

পঞ্চগড়ে বেড়েছে তাপমাত্রা

আবহাওয়া রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১০৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

সূর্যের কিরণে কুয়াশার চাদর কাটিয়ে পঞ্চগড়ে বেড়েছে তাপমাত্রা। এতে করে শীতের তীব্রতা কমে যাওয়ায় জনপদে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্যের স্বস্তি। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

এর তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। তাপমাত্রা বাড়লেও এ জেলায় গত ১৬ ডিসেম্বর থেকেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। সকালে আবহাওয়ার তথ্যটি ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, রোদ ছড়িয়ে পড়ায় ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্যের স্বস্তি। চা শ্রমিক, পাথর শ্রমিক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, কৃষকসহ অন্যান্য পেশার মানুষদের সকালেই কাজে যেতে দেখা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে এখন আর ঘন কুয়াশা নেই। সকালেই রোদ ওঠায় তাপমাত্রা বেড়েছে। সকালের মিষ্টি রোদে কনকনে শীতের অনুভূতিটা কমেছে। তবে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের মাত্রাটা বেশি অনুভব হচ্ছে। আমাদের অঞ্চলে এ শীত মৌসুমে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও বিকেল হলেই হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। সে হিমেল হাওয়ায় সন্ধ্যা থেকে ঠান্ডা লাগে।

আব্দুল হামিদ, বাহার ও দেলোয়ারসহ ভ্যানচালক বলেন, আগের মতো ঠান্ডা নেই। তাই সকাল সকাল ভ্যান নিয়ে বেরিয়েছি। ঠান্ডা কমেছে। সকালে রোদ ওঠায় ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে ভাড়া মারতে পারছি। লোকজনও ভ্যানে উঠছে।

পাথর শ্রমিক জুয়েল, আরিসসহ কয়েকজন বলেন, ঠান্ডা না থাকলেও নদীর পানি বরফের মতো ঠান্ডা। কিছু করার নেই। জীবিকার তাগিদেই নদীতে নেমে পাথর তুলতে কাজে যেতে হচ্ছে। একই কথা বলেন চা শ্রমিকরা।

এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।

জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা বেড়ে ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। গতকাল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছিল। যা দেশের সর্বনিম্ন। তাপমাত্রা বাড়লেও গত ১৬ ডিসেম্বর থেকেই এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বিশেষ করে হিমালয় বিধৌত এলাকায় এ উপজেলাটির অবস্থান হওয়ায় এখানে অন্যান্য এলাকা থেকে শীত আগে নামে। এ সময়টাতে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট