বল হাতে শুরুটা হলো দুর্দান্ত। পরে অবশ্য থাকলো না তেমন।
নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডকে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করে নিউজিল্যান্ড, সফরকারীরা এই রান তাড়া করে ৮ বল হাতে রেখে। এবারই প্রথম এই ফরম্যাটে কিউইদের মাটিতে হারালো তারা। ওয়ানডেতেও দলটির বিপক্ষে প্রথম জয় এসেছিল এই সফরেই।
বুধবার নেপিয়ারে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করেছে কিউইরা।
প্রথম ওভারে মাহেদী হাসানকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কাজেও আসে সেটি। টিম সেইফার্টের ডানহাতি বোলিংয়ে দুর্বলতা ছিল, এবারও তিনি আউট হয়ে যান মাহেদীর বলে। তিন বল খেলেও কোনো রান করতে পারেননি সেইফার্ট, হন বোল্ড।
পরের ওভারে এসে ঝড়ই বইয়ে দেন শরিফুল। প্রথম বল ডট দেওয়ার পর দ্বিতীয়টিতেই উইকেট পেয়ে যান তিনি। ফিন অ্যালেন ৩ বলে ১ রান করে ক্যাচ দেন দ্বিতীয় স্লিপে। পরের বলে আরও এক উইকেট নিয়ে শরিফুল হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান। শরিফুল করা বল ব্যাট উঁচিয়ে ছেড়ে দেন গ্লেন ফিলিপস, বল লাগে তার প্যাডে। শুরুতে আম্পায়ার আউট দেননি, তবে রিভিউ নিয়ে সফল হয় বাংলাদেশ।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারশেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২ রানে ৩ উইকেট। এমন হতভম্ব হওয়া শুরুর পর প্রতিআক্রমণের চেষ্টা করেন ড্যারল মিচেল। তানজিম হাসান সাকিবের করা তৃতীয় ওভারে আসে সাত রান, শরিফুলের করা পরের ওভারে দুই বাউন্ডারিতে ৯ রান নেন মিচেল।
তবে তার এই প্রতিরোধ থামিয়ে দেন মাহেদী হাসান। গতবছর সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন তিনি। ফিরে আসার ম্যাচটা মাহেদী স্মরণীয় করে রাখেন আরও এক উইকেটে। এবার তার হালকা ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হন মিচেল। ১৫ বলে ১৪ রান করেন তিনি।
উইকেট হারালেও দলকে চাপে পড়তে দেননি মার্ক চাপম্যান। তানজিম সাকিবের বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৪ রান নেন। পাওয়ার প্লে শেষ পর্যন্ত খুব একটা মন্দ হয়নি। ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান করে তারা।
পাওয়ার প্লের পরের ওভারগুলোতে রান হয়নি খুব একটা। ওই চাপ থেকে চাপম্যানকে আউট করেন রিশাদ হোসেন। তার বলে ডিপ কাভারে দাঁড়িয়ে চাপম্যানের ক্যাচ নেন তানজিম হাসান সাকিব। ১৯ বলে ১৯ রান করে আউট হন চাপম্যান।
এরপর জিমি নিশাম ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। চার-ছক্কার ফুলঝুঁড়ি ছোটান তিনি। ১৭তম ওভারে অবশ্য নিশামকে আউট করেন মোস্তাফিজ। ইয়র্কার করতে গিয়ে দেওয়া তার ফুলটসে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ কাভারে দাঁড়ানো আফিফকে ক্যাচ দেন তিনি। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ২৯ বলে ৪৮ রান করেন নিশাম।
দেড়শ ছাড়ানোর সম্ভাবনা থাকলেও পরে হয়নি সেটি। ২২ বলে ২৩ রান করে মিচেল স্যান্টনার দলের রান নিয়ে যান ১৩০ ছাড়িয়ে। বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। দুটি করে উইকেট নেন মাহেদী হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। এক উইকেট করে পান তানজিম হাসান সাকিব ও রিশাদ হোসেন।
Leave a Reply