নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের নৌকার প্রার্থী এমপি বেকায়দায় পড়েছেন।
তৃণমূল আওয়ামী লীগ ও দলের হেভিওয়েট নেতারা ঈগলের পিঠে ভর করেছে। ফলে ঈগলের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে লালপুর-বাগাতিপাড়া উপজেলায় ।
জানা যায়, শহিদুল ইসলাম বকুল নৌকা প্রতীকে ২০১৮ সালে নাটোর-১ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এমপি নির্বাচিত হবার পর থেকে নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে আওয়ামী লীগ থেকে জনশূন্য হয়ে পড়েছেন।
গত বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি বকুল নৌকার বিপক্ষে গিয়ে তার সহোদর ভাই নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী অহিদুল ইসলাম গকুলকে জয়ী করেন। এছাড়াও তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করে তার মনোনীত অল্প কিছু প্রার্থীদের জয়ী করেছেন। তাছাড়া তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগকে পাস কাটিয়ে দলীয় গঠনতন্ত্র বিরোধী এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করেন। ফলে এমপি বকুল গত ৫ বছরে তৃণমূল ও প্রবীন দলীয় নেতাকর্মী থেকে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
প্রতিদিন লালপুর-বাগাতিপাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ঈগল প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করছেন।
এ সময় তার সঙ্গে থাকছেন- নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী , লালপুর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাবনী সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম , জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতি, বাগাতিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেন, সাবেক সম্পাদক সেকেন্দার আলী প্রমুখ।
এদিকে প্রথম থেকেই লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু, চংধুপইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, বাগাতিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান আবুল কালাম আজাদের পক্ষে কাজ করছেন।
অপরদিকে শহিদুল ইসলাম বকুল নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে লালপুর-বাগাতিপাড়ায় গণসংযোগ করছেন। এ সময় তার সঙ্গে দেখা যায় ওয়ালিয়া ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয় লাভ করা নুরে আলম সিদ্দিকী , এ বি ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয় করা আসলাম হোসেন, বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করা প্রার্থী অহিদুল গকুল।
Leave a Reply