ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, দেশে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার মতো ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় প্রায় ১৩টি ফাটলরেখা রয়েছে।
শনিবার (১০ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এক সেমিনারে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।
Commemoration of 12 June 1897 Great Indian Earthquake Towards Preparedness and Awareness for Earthquake Risk Mitigation’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগ।
অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, দেশে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার মতো প্রায় ১৩টি ভূতাত্ত্বিক ফাটলরেখা রয়েছে, যেগুলো ভূতাত্ত্বিকভাবেও সক্রিয়।
সেজন্য প্রস্তুতি বাড়ানো দরকার। জনসচেতনতা ভূমিকম্প দুর্যোগের বিপদাপন্নতা কমানোর জন্য একটি বড় উপাদান।
এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথ্য স্কুল পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।
গত ৫ মে সংঘটিত ভূমিকম্প বিষয়ে তিনি বলেন, এই ভূমিকম্পটি কোনো বড় ধরনের ভূমিকম্পের ইঙ্গিত দেয় না। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পের তথ্য প্রমাণসহ তিনি দেখান যে, এই ভূমিকম্প সংঘটিত হতে প্রায় ৩৫০-৬৫০ বছর সময় প্রয়োজন। তবে একটি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় যেকোনো সময়ে ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প হতে পারে।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাসে ভূমিকম্প তথ্য সম্বলিত ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা শীর্ষক গবেষণাকর্ম উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে ভূমির নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এই পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে বিল্ডিং কোড সহজে অনুসরণ ও প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের প্রতিনিধি এ এম নাসির উদ্দিন বলেন, ভূমিকম্প প্রস্তুতির জন্য বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ভিত্তিক সমাধান প্রচার করা জরুরি।
অনুষ্ঠানে ফ্যাকাল্টির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যার বিষয়বস্তু ছিল ছোট ছোট ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ায়। এ বিতর্কে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে উভয় দলের প্রতিযোগিরা তাদের পক্ষে তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করেন।
Leave a Reply