পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টানা তিনদিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আবৃত চারপাশ। সকাল ১০টা বাজলেও দেখা নেই সূর্যের। সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশার শিশির। একদিকে প্রচণ্ড শীত, আরেকদিকে ঘন কুয়াশার আধার। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা।
পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। প্রয়োজন ছাড়াও অনেকে ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেড়িয়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবীরা। কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার।
এদিকে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে বেশি আক্রান্তরা চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষণ রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, রাত থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পুরো জেলে। সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শুক্রবার সকাল ৯টায় ও ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা আর উত্তরপূর্ব বা উত্তরপশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিম বাতাসে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মাসজুড়ে এমন আবহাওয়া থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply