সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া নতুন তিন বিচারপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সকাল সাড়ে দশটায় শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত তিন বিচারককে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন।
তিন বিচারপতি হলেন-হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো.শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।
বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। তিনজনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াবে আটজনে।
বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮২ সালে জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। পরবর্তী ১৯৮৫ সালের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পরে ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল স্থায়ী হিসেবে নিয়োগ পান।
বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৩ সালে মুন্সেফ (সহকারী জজ) হিসেবে ১৯৮৩ সালের ২০ এপ্রিল নিয়োগ পান। পরবর্তীতে ২০০১ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০১০ সালে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ পান।
পরবর্তীতে ২০১২ সালের ২২ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর সদস্য হন। ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। দুই বছর পর তিনি স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তবে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি তাকে হাইকোর্টে ফেরত আনা হয়।
বিচারপতি কাশেফা হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ ও এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া ফ্রেঞ্চ ভাষার ওপর ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন।
বিচারপতি কাশেফা হোসেন ১৯৯৫ সালে জেলা আদালত এবং ২০০৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
Leave a Reply