রাজশাহীর তানোরে বাড়িতে ডেকে জামাই ও তার ভাইকে পিটিয়ে আহত করেছে শ্বশুর, শালা-শমন্দি চাচা শ্বশুর।
আহত জামাই তানোর পৌর এলাকার জিওল গ্রামের আজাহার আলীর পুত্র রবিউল ইসলাম রুবেল (৩০) ও তার বড় ভাই মিজানুর রহমান (৩৫) কে রক্তাক্ত গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে তানোর পৌর এলাকার আমশো তাতিয়াল পাড়া মহল্লায়।
এলাকাবাসী ও উভয় পরিবার সুত্রে জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার তাতিয়াল পাড়া মহল্লায় আজাদ আলীর কন্যা স্বর্না (২৪)’র সাথে ৮ বছর আগে তানোর পৌর এলাকার জিওল মহল্লার আজাহার আলীর পুত্র রবিউল ইসলাম রুবেলের সাথে বিয়ে হয়।
তাদের সংসার জীবনে ২ পুত্র সন্তান রয়েছে। এঅবস্থায ঈদুল ফিতরের দিন দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। ওই দিনই বিকালে স্বামী রবিউলের অনুপস্থিতিতে স্ত্রী স্বর্না তার ভাইকে ডেকে নিয়ে ২ পুত্রসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকা ও স্বর্নের চেইন আংটি নিয়ে ভাইয়ের সাথে বাবার বাড়ি চলে যান।
এর পর থেকেই স্বামী রবিউল ইসলাম তার স্ত্রীকে ফোনে যোগাযোগ করে বাড়িতে আসার কথা বলতে থাকেন। কিন্তু স্ত্রী স্বর্না বাড়িতে আসছেন না। পরে স্বামী রবিউল ইসলাম বিষয়টি তার শ্বশুরকে অবহিত করেও স্ত্রী স্বর্নাকে বাড়িতে ফিরিযে আনতে ব্যর্থ হন।
গত বুধবার রবিউল আবারো তার শ্বশুর আজাদ আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জামাইকে তার ভাইসহ আত্নীযদের নিয়ে বাড়িতে আসতে বলেন। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জামাই রবিউল ইসলাম তার বড় ভাই মিজানুর আরেক বড় ভাই এমদাদুল ও চাচাতো ভাই হাবিবুরকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যান।
এসময় তাদেরকে ঘরে তুলে কথা বলাবলির এক পর্যায়ে জামাই রবিউল ইসলাম তার শ্বশুর আজাদ আলীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে হাত-পা ধরার জন্য উঠে শ্বশুরের কাছে যাওয়া মাত্রই শ্বশুর আজাদ আলী জামাই রবিউল ইসলামকে চড় থাপ্পড় মারতে শুরু করেন।
এসময় পাশে থাকা শ্যালক আর্জু ও জয় এবং চাচা শ্বশুর আজিম উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন লাঠি সোটা দিয়ে পেটানোর একপর্যায়ে হাসুয়া দিয়ে জামাইকে কোপ দিয়ে পিঠে ও দু হাতে রক্তাক্ত জখম করেন। এসময় তার বড় ভাই মিজানুর তার ছোট ভাইকে বাচানোর জন্য এগিয়ে আসলে তাকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এসময় আরেক বড় ভাই এমদাদুল ও চাচাতো ভাই হাবিবুর সেখান থেকে পালিয়ে রক্ষা পান।
পরে তার আত্নীয় স্বজনসহ গ্রামের লোকজন তাদেরকে গুরুতর আহত রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এবিষয়ে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি জামাই রবিউল ইসলাম ও তার বড় ভাই মিজানুর এবং আরেক বড় ভাই এমদাদুল বলেন, চিকিৎসার কাজে ব্যস্থ থাকায় থানায় অভিযোগ করা হয়নি, থানায় অভিযোগ করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তারা।
এবিষয়ে শ্বশুর আজাদ আলীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কি কারনে মারপিট করা হয়েছে তারাই ভালো জানেন। তিনি মারপিট করেননি জানিয়ে বলেন, তার মার খাওয়া আমি রক্ষা করতে পারিনি বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply