রাজশাহীর তানোরে এলাকাবাসীর বাধা উপেক্ষা ও পরিবেশ দুষণ করে প্রায় শত বিঘা আয়তনের পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের(ইউপি) হাড়দহ মাঠে নাইস গার্ডেন সংলগ্ন এসব পুকুর ভরাট করা হচ্ছে।
এদিকে এসব পুকুর ভরাটে অবৈধ ট্রাক্টরে মাটি বহন করে তানোর-বায়া আঞ্চলিক সড়কসহ এলাকার পাকা-কাঁচা রাস্তা নস্ট করা হচ্ছে।
মাটি ভরাটের দায়িত্বে থাকা আঃ আলিমের (০১৭৬৩-৩৫৬৭০৬) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জায়গার মালিক অনেক বড় মাপের ব্যক্তি সে সবাইকে ম্যানেজ করেই কাজ করছেন, তাছাড়া প্রকাশ্যে এভাবে কাজ করা যাবে না।
কোন দপ্তর থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সেটা আমাদের বিষয়, যখন কাজ করবো তখন কথা হবে, কারো ক্ষমতা নেই বন্ধ করার, আমাদের পুকুর ভরাটের কথা প্রশাসন জানে, দু চার টাকার পত্রিকায় খবর করে আমাদের কিছুই হবে না।
স্থানীয়রা জরুরী ভিত্তিতে প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে পুকুর ভরাট বন্ধের দাবী করেছেন।
রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক কবির হোসেন জানান, জমির শ্রেণী কি সেটা না দেখে কিছু বলা যাবে না। তবে পুকুর হলে সেটা ভরাটের কোনো সুযোগ নাই, কেউ আইনের উর্ধে নয়। তিনি বলেন, সরেজমিন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাড়দহ মাঠে পুকুর ভরাট কাজ চলছে। সেখানে রয়েছে মাটি টেনে সমান করার মেশিন, ফেলা হয়েছে ইট। তানোর-বায়া আঞ্চলিক সড়কে মাটির স্তুপ দেখে বোঝার উপায় নাই এটা পাকা সড়ক, একটু বৃষ্টি হলেই তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
স্থানীয়রা জানান, দেশের সরকার প্রধান এবং উচ্চ আদালতের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে কৃষি জমি নস্ট ও পুকুর ভরাট করা যাবে না। অথচ তার পরেও কিভাবে প্রকাশ্যে দিবালোকে এভাবে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। তবে কি এরা সরকার প্রধান ও উচ্চ আদালতের থেকে বেশী শক্তিশালী বা ক্ষমতাবান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও তানোরের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সঞ্জয় কুমার মোহন্ত জানান, পরিবেশের ক্ষতি করে পুকুর ভরাটের কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এবিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুল জলিল জানান, পুকুর ভরাট করার কোনো সুযোগ নাই, লোকেসান কোথায় জানতে চান তিনি, জানানো হয় চান্দুড়িয়া ইউপি হাড়দহ মাঠে, তিনি জানান দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply