তাইওয়ান দ্বীপের চারপাশে ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। চীনা সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের কঠোর শাস্তি’ হিসেবে এই যৌথ মহড়া চালানো হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বশাসিত তাইওয়ান দ্বীপকে ঘিরে চীন সামরিক মহড়া শুরু করেছে বলে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
চীনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লি শি বলেছেন, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ বাহিনীর বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য কঠোর শাস্তি এবং বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপ ও উস্কানির বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা’ হিসেবে যৌথ এই মহড়া চালানো হচ্ছে।
অবশ্য তাইওয়ানকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীকরণের লক্ষ্য অর্জনের জন্য শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনার বিষয়টিও অস্বীকার করে না বেইজিং। এছাড়া লাই প্রেসিডেন্ট হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। কারণ তাইওয়ানের নতুন এই প্রেসিডেন্টকে ‘সমস্যা সৃষ্টিকারী’ এবং ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে মনে করে থাকে চীন।
শপথ গ্রহণের পর গত সোমবার জনসাধারণের উদ্দেশে নিজের প্রথম ভাষণে লাই বলেন, ‘তাইওয়ান একটি সার্বভৌম এবং স্বাধীন দেশ যার সার্বভৌমত্ব জনগণের মধ্যে রয়েছে’। একইসঙ্গে তার সরকার তাইওয়ানের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার বিষয়ে কোনও ছাড় দেবে না বলেও জোর দেন তিনি।
এসময় তিনি বেইজিংকে ‘তাইওয়ানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করতে’ এবং ‘তাইওয়ান প্রণালী ও এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার’ জন্য আহ্বান জানান।
আর এর পরের দিন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই তার এই বক্তব্যের নিন্দা করেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজাখস্তানে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ওয়াংকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘লাই চিং-তে এবং অন্যদের কুৎসিত কর্মকাণ্ড যারা জাতি এবং তাদের পূর্বপুরুষদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তা লজ্জাজনক।’
এদিকে বুধবার প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে চীনের রাষ্ট্র-চালিত গ্লোবাল টাইমস ট্যাবলয়েড প্রেসিডেন্ট হিসাবে লাইয়ের প্রথম বক্তৃতাকে ‘অপরাধী আচরণ’ হিসাবে বর্ণনা করেছে এবং দাবি করেছে, তার এই বক্তৃতা ‘শত্রুতা এবং উস্কানি, মিথ্যা এবং প্রতারণাতে ভরপুর’।
চীনের সামরিক বাহিনী বলেছে, বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যৌথ সমুদ্র-আকাশপথে যুদ্ধ-প্রস্তুতি টহল, মূল লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল হামলা এবং দ্বীপ চেইনের অভ্যন্তরে ও বাইরে সমন্বিত অভিযানের ওপর ফোকাস করা হয়েছে।
অবশ্য চীনের এই সামরিক মহড়া কতদিন চলবে তা বলা হয়নি।
Leave a Reply