ট্যাংক ও বুলডোজার নিয়ে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালে ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে হাসপাতালের বিপুলসংখ্যক রোগী ও আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা মৃত্যুঝুঁকিতে পড়েছেন।
আতঙ্ক ছড়িয়েছে তাদের মধ্যে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এর সত্যতা স্বীকার করে ইসরায়েল জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা জানতে পেরেছে হাসপাতালটিতে ঘাঁটি গেড়েছে হামাসযোদ্ধারা। মূলত আল-শিফা হাসপাতালে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছেন তারা। হাসপাতালের বিশেষ বিশেষ অংশে তারা এ অভিযান চালাচ্ছে।
আল-শিফা হাসপাতালের চিকিৎসক আহমেদ আলজাজিরাকে মোখাল্লালাতি বলেন, হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ইসরায়েলি ট্যাংক ও বুলডোজার প্রবেশ করেছে। এতে হাসপাতালটিতে ৬৫০ জন রোগী আটকা পড়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ১০০ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অবস্থান নেওয়া নারী ও শিশুসহ কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির জীবন এখন ঝুঁকিতে।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আমরা রোগী ও আশ্রয় নেওয়াদের শান্ত করার চেষ্টা করছি।
হাসপাতালে প্রবেশের আগে কয়েক ঘণ্টা ধরে এর আশপাশের এলাকায় ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী।
চিকিৎসক আহমেদ মোখাল্লালাতি জানান, লাগাতার বিস্ফোরণের শব্দ শুনছিলেন তিনি ও রোগীরা। হাসপাতালসহ ওই এলাকা বেশ কয়েকবার কেঁপে উঠেছিল। গোলাগুলির শব্দও শুনেছেন তিনি।
আল-শিফায় অভিযান চালানোর ইঙ্গিত অবশ্য ইসরায়েল আগে থেকেই দিয়ে আসছিল। তাদের অভিযোগ ছিল, হামাসের সদস্যরা লুকিয়ে হাসপাতালটিতে লুকিয়ে আছে এবং সেখান থেকে তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
যদিও হামাস থেকে বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চিকিৎসক আহমেদ মোখাল্লালাতি বলেন, আমরা জানি না তারা (ইসরায়েলি বাহিনী) আমাদের কী করবে। আমরা জানি না তারা মানুষকে হত্যা করবে নাকি সন্ত্রাস করবে। আমরা জানি যে তাদের সমস্ত প্রচার মিথ্যা এবং তারাও জানে আল-শিফা মেডিকেল সেন্টারে হামাসযোদ্ধাদের চিহ্ন নেই।
Leave a Reply