ইরানি বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক জামশিদ শারমাহাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় জার্মানিতে ইরানের সবগুলো কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান সরকার।
গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) জামশিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এই ঘোষণা দিয়েছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালিনা বেয়ারবক।
বৃহস্পতিবার এক ভাষণে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জার্মানিতে ইরানের সবগুলো কনস্যুলেট আজ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হলো। আমরা স্পষ্টভাবে তেহরানকে বলেছিলাম যে জামশিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলে তার ফলাফল হবে গুরুতর; কিন্তু তেহরান তা শোনেনি। তাই বাধ্য হয়েই আমাদের এ পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।
ফ্রাঙ্কফুর্ট, মিউনিখ এবং হামবুর্গ জার্মানির তিন এই শহরে ইরানের কনস্যুলেটগুলো অবস্থিত।
জামশিদ শারমাহদের ইরান ও জার্মানির দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। ২০০৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত ইরানিদের সঙ্গে নিয়ে ইরানে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। তাছাড়া ২০০৮ সালে ইরানের শিরাজ শহরে মসজিদে বোমা হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২০২০ সালে তাকে অপহরণ করে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। প্রায় চার বছর বিচার প্রক্রিয়ায় গত ফেব্রুয়ারিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ইরানের নিম্ন আদালত। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেছিলেন জামশিদ, কিন্তু তার আবেদন নাকচ হলে গত বুধবার তার ফাসি কার্যকর করা হয়।
এদিকে কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, জার্মানিতে ইরানের কনস্যুলেট বন্ধ করা সেই দেশে বসবাসকারী ইরানীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার দেওয়ার শামিল- যাদের অধিকাংশই জার্মান নাগরিকত্বের অধিকারী।
Leave a Reply