মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মুগদায় একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শুক্রবার র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডলের বাড়ি গাইবান্ধায়। তিনি মুগদায় ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। এ সময় ছেলের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আবদুল ওয়াহেদ জামায়াতে ইসলামীর গাইবান্ধা সদরের সদস্যসচিব ছিলেন। ওই সময় গাইবান্ধায় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণসহ নানা অপরাধে যুক্ত ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ ছিল।
আবদুল ওয়াহেদ সাত বছর ধরে পলাতক ছিলেন। এ অবস্থায় ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাঁকেসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এর আগে ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে হাজির না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। তখন আবদুল ওয়াহেদ গাইবান্ধা ছেড়ে ঢাকার সাভারে চলে আসেন। কিছুদিন আত্মগোপনে থাকেন। এরপর তিনি তাবলিগের একটি দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যান।
র্যাব বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়াতে আবদুল ওয়াহেদ তাবলিগে যুক্ত হন। তাবলিগের দলের সঙ্গে নিয়মিত অবস্থান পরিবর্তন করতেন তিনি। একসময় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অন্যের নিবন্ধন করা সিমকার্ড দিয়ে মুঠোফোন ব্যবহার শুরু করেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তিনি ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন।
Leave a Reply