ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে কক্সবাজারে গতকাল (বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর) থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সমুদ্র উপকূল উত্তাল হয়ে আছে।
এদিন থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে ২ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।
এদিকে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর এবং মোংলা ও পায়রা বন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভায় এই প্রস্তুতির কথা জানান জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান।
তিনি জানান, জেলার ৫৭৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলে মাইকিং করা হয়েছে। সাগরে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে উপকূলে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাহাজ মালিকদের সংগঠন স্কোয়াব এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর জানিয়েছেন, বুধবার তিনটি জাহাজে করে ৫১৯ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যান। তার মধ্যে দুই শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনে অবস্থান করছেন। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জাহাজ চলাচল শুরু হবে। তখন সেন্টমার্টিনে থাকা পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হবে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply