পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একাধিক মামলায় জামিন চাইতে যাওয়ার সময় আদালত চত্বর থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি।
দেশটির ইংরেজি দৈনিক ডন বলছে, ইমরান খান যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন তার নিজের ও স্ত্রীর মালিকানাধীন আল-কাদির ট্রাস্টকে অবৈধভাবে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ৫৩০ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি মূল্যের ওই জমির অবস্থান দেশটির বাহরিয়া টাউন এলাকায়।
পরে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমি বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়।
জিও নিউজ বলছে, ইসলামাবাদ হাইকোর্টে বায়োমেট্রিক দিতে যাওয়ার সময় পিটিআই চেয়ারম্যানকে তুলে নিয়ে যায় রেঞ্জার্স। তার বিরুদ্ধে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (ন্যাব) জমি বরাদ্দের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
গত ১ মে ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করেছিলেন ন্যাবের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) নাজির আহমেদ বাট।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, মহাপরিদর্শক (আইজি) আকবর নাসির খানের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে ইসলামাবাদ পুলিশ। এতে বলা হয়েছে, ইমরান খান ক্ষমতায় থাকাকালে আল-কাদির ট্রাস্টকে বাহরিয়া টাউনে ৫৩০ মিলিয়ন রুপি মূল্যের জমি অবৈধভাবে বরাদ্দ দিয়েছিলেন। এই ট্রাস্টের মালিকানায় আছেন পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি।
ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শক আকবর নাসির খান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। পুলিশের শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেছেন, ইমরান খানকে কাদির ট্রাস্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সহিংসতা চালানোর চেষ্টা হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
Leave a Reply