সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৬ জুলাই থেকে শুরু হয় মোবাইল ইন্টারনেটের ধীরগতি। এরপর সহিংসতা ও গুজব প্রতিরোধ করতে সরকারের মৌখিক নির্দেশে ১৮ জুলাই থেকে বন্ধ হয়ে যায় থ্রি-জি ও ফোর-জি পরিষেবা। ফলে আজ ১০ দিন ধরে গ্রাহকরা মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে অনলাইনে কাজ করতে পারছেন না। এমন অবস্থায়, যেসব গ্রাহকের ইন্টারনেট ডাটা অব্যবহৃত অবস্থায় মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটি জানতেই এখন উদগ্রীব সবাই।
বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এখনও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। আমরা সবসময় গ্রাহকদের স্বার্থে কাজ করি। বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকদের দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।
অথচ আমাদের দেশে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে, পুলিশকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করার ছবি-ভিডিও প্রকাশ করে উসকানি ছড়িয়ে দিচ্ছে, যেগুলোকে তারা ব্লক করছে না। এগুলোকে তারা ছড়িয়ে দিচ্ছে, এমনকি তারা সেই কন্টেন্টের বুস্টিং থেকে আয় করছে, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
তিনি আরও বলেন, ফেসবুক-টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়ে আলোচনায় বসা হবে। তারা যদি সেখানে অংশ নিয়ে সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারে, তবে তাদের প্রতি আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশব্যাপী দীর্ঘ ১২০ ঘণ্টার (৫ দিনের) ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট শেষে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়। তবে এখনও বন্ধই আছে মোবাইল ডাটা।
Leave a Reply