শীত শেষ। বসন্তের হাওয়া গায়ে লাগলেও গরম অনুভূত হচ্ছে ধীরে ধীরে।
এ গরম থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই অনেক টোটকা খোঁজেন। চলুন জেনে আসা যাক, গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়।
গরম থেকে বাঁচার প্রথম ও প্রধান উপায় সূর্যের আলো এড়িয়ে চলা। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রোদের প্রখরা থাকে বেশি।
এ সময় ঘরেই থাকা ভালো। বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহার করুন।
সরাসরি রোদের নিচে পড়তে না চাইলে ছাতার চেয়ে ভালো উপায় নেই। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই গরম হয় না, এমন কাপড়ের ছাতা কেনা উচিত।
ক্যাপ ব্যবহারে শুধু মুখমণ্ডল সূর্যের আলো থেকে রক্ষা পায়। শরীরের সিংহভাগ বাঁচাতে চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি ব্যবহার করুন। যারা কৃষিকাজ করেন তারা ‘মাথাল’ ব্যবহার করতে পারেন।
শরীর গরম সহ্য করতে পারলে মুখ-হাত ঢেকে রাখুন। পানি খান প্রচুর। ফলের জুস খাওয়াও শরীরের জন্য ভালো। গরমে ঘাম হয়ে শরীর থেকে প্রচুর পরিষ্কার পানি বের হয়ে যায়। এ সময় ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালান্স তৈরি হয়। এ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পানি বা জুস পানের চেয়ে ভালো সমাধান নেই।
সুতি কাপড় পরে চলাচল করুন। আঁটসাঁট কাপড় না পড়াই ভালো। ঢোলা জামা পরলে সাদা বা হালকা রঙের পরা ভালো।
জুতা-স্যান্ডেল নির্বাচনেও চোখ খোলা রাখা জরুরি। পায়ে বাতাস চলাচল করতে খোলামেলা জুতা পরা উচিত। কাপড় বা সিনথেটিক বাদ দিয়ে চামড়ার জুতা হলে ভালো।
খাবার হজম করতে সময় বেশি লাগে এমন ভারী খাবার, ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন। গরমের সময় তেলযুক্ত খাবার, মাংস, বিরিয়ানি কম খাওয়াই ভালো। গরমে শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া উপযোগী। পুরনো বা বাসি খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রতিদিন সকাল সকাল গোসল করুন। বেশি গরম অনুভব হলে বার বার ওযু করতে পারেন। তাছাড়া রুমাল ভিজিয়ে সঙ্গে রাখতে পারেন।
এসি ব্যবহার করলে সে অনুযায়ী চলাফেরা করা শ্রেয়। তবে গরমে এসির ব্যবহার ত্বক ও শরীরের ক্ষতি করতে পারে। সে জন্য এসির ব্যবহার কম করাই ভালো। ঘরের ভেতর ফ্যানের নিচে পানি ভর্তি বালতি রাখুন। এতে ঘর ঠাণ্ডা থাকবে।
হিটস্ট্রোকের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। মাংসপেশি ব্যথা, দুর্বল লাগা ও প্রচণ্ড পিপাসা হওয়া, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস, মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করা, বমিভাব হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Leave a Reply