কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের বাড়তি দামে বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। সঙ্গে বেড়েছে আদা-রসুনের দামও। তবে বাজারে এসব পণ্যের কোনো ধরনের সংকট নেই। তবুও মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ২৭০ টাকায়। এছাড়া দ্বিগুণ দাম বেড়ে বাজারে আদার কেজি ৪০০ টাকা। ফলে বাজারে এসব পণ্য কিনতে সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠছে।
এদিকে রোজার ঈদের পর থেকেই কারসাজি করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি বন্ধ এই অজুহাতে মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বাজারে এই পণ্যের কোনো ধরনের সংকট নেই। রাজধানীর খুচরা বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা এক মাস আগে ৩৫-৪০ টাকা ছিল। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা। যা আগে ৪৫ টাকা ছিল।
নয়াবাজারের বিক্রেতা মো. সিদ্দিক বলেন, কুরবানির ঈদ ঘিরে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। আমদানিকারক ও পাইকারি বিক্রেতা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে কোনো সংকট নেই। আমরা খুচরা বিক্রেতা বেশি দাম দিয়ে কিনে বেশি দামে বিক্রি করি। তবে ক্রেতার সঙ্গে আমাদের প্রতিনিয়ত কথা কাটাকাটি হচ্ছে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ সর্বোচ্চ ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা সাত দিন আগে ২৪০ টাকা ও দুই সপ্তাহ আগে ২২০ টাকা ছিল। নয়াবাজারের বিক্রেতা মো. ওমর ফারুক বলেন, ঝড় ও বৃষ্টির কারণে মরিচের খেতের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে বাজারে সরবরাহ কম। তাই দাম কিছুটা বেড়েছে।
অন্যদিকে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা। যা এক মাস আগেও ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। যা আগে ২৫০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, যা এক মাস আগে ১২০ টাকা ছিল। আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকায়, যা আগে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারে পণ্য কিনতে এসে ক্রেতারা জানান, মূলত কুরবানির ঈদ ঘিরে বাজারে সব ধরনের মসলা পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু দাম কমানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। যারা মূল্য বৃদ্ধি করছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেই। এতে আমাদের ক্রেতাদেরই ভোগান্তি হচ্ছে।
Leave a Reply