ম্যাচ আর্জেন্টিনা শুরু করেছিল মানসিকভাবে পিছিয়ে থেকে। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের মা, আলেহান্দ্রো গার্নাচোর ভাইসহ একাধিক খেলোয়াড়ের স্বজনরা আটকে ছিলেন উগ্রপন্থী কলম্বিয়ান সমর্থকদের মাঝে। খেলা শুরুর আগে নিজের মাকে নিরাপদে স্টেডিয়ামে নিয়ে আসতে লকাররুম ছেড়ে বেরিয়ে আসেন ম্যাক অ্যালিস্টার। এমন বিপর্যস্ত আর্জেন্টিনার ওপর চড়াও হতেও সময় নেয়নি কলম্বিয়া।
ম্যাচে আর্জেন্টিনার ভাগ্যটা অবশ্য ভালোই বলতে হবে। জন কর্দোবার শট সপ্তম মিনিটে ফিরে আসে গোলবার থেকে। এরপরেও অবশ্য হাল ছাড়েনি কলম্বিয়া। পুরো ৪৫ মিনিটেই দাপট ছিল তাদের। একের পর এক শট নিয়েছে আর্জেন্টিনার গোলমুখে। এমি মার্টিনেজ অন্তত ৩ বার দলকে রক্ষা করেছেন নিশ্চিত গোলের মুখ থেকে।
বিপরীতে আর্জেন্টিনা খুব একটা সুযোগ পায়নি। অন টার্গেট শট ছিল কেবল একটিই। এরমাঝেও শঙ্কা ছিল কলম্বিয়ার শারীরিক ফুটবলের কারণে। আনহেল ডি মারিয়া, লিসান্দ্রো মার্টিনেজরা কড়া ফাউলের মুখে পড়েছেন। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে কড়া ট্যাকেলের শিকার হয়ে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় লিওনেল মেসিকে। খানিক পরেই মাঠে ফিরে এলেও মেসির গোড়ালিতে আঘাতের প্রভাব ছিল স্পষ্ট। সবমিলিয়ে অবশ্য কঠিন সময় পেরিয়েছে তাদের জন্য।
স্টেডিয়ামের নিরাপত্তাকর্মীরা বাধ্য হন টিকিটবিহীন কলম্বিয়ান ভক্তদের ওপর চড়াও হতে। প্রটোকল অবশ্য পুরোপুরি মানতে পারেননি হার্ড রক স্টেডিয়ামের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশেরা। কলম্বিয়ান ভক্তদের অনেকেই ঢুকে পড়েছেন বিনা টিকিটে। পুরো বিষয়টি নিয়েই সেখানে তৈরি হয় জটিল পরিস্থিতির। এরইমাঝে বাইরে অপেক্ষমান আর্জেন্টাইন ভক্তদের ওপরেও চড়াও হয়েছে কলম্বিয়ান ভক্তরা। একাধিক ছবিতে নারী ও শিশুদের নাজেহাল অবস্থার ছবিও প্রকাশ পেয়েছে।
Leave a Reply