চার কর্মীকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে ও ৬ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ( ডিএমটিসিএল) কর্মীরা। তবে কর্মীদের এই কর্মবিরতির মধ্যেও চলছে মেট্রোরেল।
এদিকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ১৬ মার্চ বিকাল সোয়া ৫টায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের চারজন কর্মীকে মৌখিকভাবে ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এমআরটি পুলিশ সদস্যরা। ওইদিন দুজন নারী কোনো প্রকার পরিচয়পত্র দেখিয়ে সিভিল ড্রেসে বিনা টিকেটে ট্রেনে ভ্রমণ করে এসে ইএফও অফিসের পাশে অবস্থিত সুইং গেট ব্যবহার করে পেইড জোন থেকে বের হতে চান। যেহেতু তারা নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিহিত ছিলেন না এবং তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি, দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআরএ নিয়ম অনুযায়ী তাদের সেখান থেকে পিজি গেট ব্যতীত সুইং গেট দিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চান। তবে সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তারা এতে উত্তেজিত হয়ে তর্কে জড়ান এবং একপর্যায়ে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে চলে যান।
পরে ঠিক একইভাবে দুইজন এপিবিএন সদস্য সুইং গেট ব্যবহার করে সুইং গেট না লাগিয়ে চলে যান। এমনটি করার কারণ তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা পূর্বের ঘটনার জের ধরে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পরে কন্ট্রোল রুম থেকে আরও কয়েকজন পুলিশ এসে দায়িত্বে থাকা সিআরএ-এর সঙ্গে ইএফও-তে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং ইএফও থেকে বের হওয়ার সময় কর্মরত সিআরএ-এর কাঁধে বন্ধুক দিয়ে আঘাত করেন এবং কর্মরত আরেকজন টিএমও-এর শার্টের কলার ধরে জোরপূর্বক এমআরটি পুলিশ বক্সে নিয়ে গিয়ে মারধর করে গুলি করার জন্য বন্দুক তাক করেন। উপস্থিত স্টেশন স্টাফ ও যাত্রীরা বিষয়টি অনুধাবন করে এমআরটি পুলিশের হাত থেকে কর্মরত টিএমও-কে পুলিশের কাছ থেকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও ৬ দফা দাবি আদায়ে কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে মেট্রোরেল স্টাফরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
দাবিগুলো হলো:
১. আগামী এক কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার মূল হোতা উক্ত পুলিশ সদস্য (এস আই মাসুদ)-কে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে হবে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল রেজনুল, ইন্সপেক্টর রঞ্জিত)-কে শাস্তি প্রদান করতে হবে এবং তাদেরকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
২. মেট্রোরেল, মেট্রো স্টাফ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে হবে।
৩. এমআরটি পুলিশকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
৪. স্টেশনে দায়িত্বরত সিআরএ টিএমও, স্টেশন কন্ট্রোলারসহ অন্যান্য সকল কর্মীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. অফিসিয়াল পরিচয়পত্র ছাড়া এবং অনুমতি ব্যতিরেকে কোনো ব্যক্তি যেন স্টেশনের পেইড জোনে প্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
৬. আহত কর্মীর সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।
Leave a Reply