1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ অপরাহ্ন

সন্ধ্যায় পৌঁছাবে কুতুবদিয়া
এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নিতে ২৩ নাবিক কুতুবদিয়ার পথে

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪
  • ৮২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় কুতুবদিয়া পৌঁছাবে। সাড়ে ৬টার দিকে জাহাজটি সেখানে নোঙর করার কথা রয়েছে। এরপর জাহাজটির দায়িত্ব নেবে নাবিকদের আরেকটি টিম। ওই ২৩ নাবিকের টিম আজ বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছেন। এমভি জাহান মনি-৩ নামে একটি লাইটার জাহাজে করে তারা রওনা দিয়েছেন।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এমভি জাহান মনি কুতুবদিয়া পৌঁছাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লাগবে। ওই জাহাজে করে এমভি আবদুল্লাহ-তে থাকা ২৩ নাবিক আগামীকাল (মঙ্গলবার) ভোরে রওনা দেবেন। আগামীকাল দুপুরের পর ২৩ নাবিক চট্টগ্রামের সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে পৌঁছাবেন। সেখানে মালিকপক্ষ এবং নাবিকদের স্বজনরা তাদের বরণ করে নেবেন।

কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, কুতুবদিয়ায় পৌঁছানোর পর জাহাজ থেকে মালামাল খালাস শুরু হবে। সেখানে কিছু মালামাল খালাস শেষে ১৫ মে এমভি আবদুল্লাহ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস হবে।

৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে। কার্গো নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট