রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এবারও আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট।
বুধবার (২১ জুন) রাতে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন অনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, লিটনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা প্রতীকের ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। এছাড়া জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের সাইফুল ইসলাম স্বপন পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭২ ভোট এবং জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের লতিফ আনোয়ার পেয়েছেন ১১ হাজার ৭১৩ ভোট।
জানা গেছে, ১৯৮৭ সালের ১ অগাস্ট রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের যাত্রা শুরু হয়। এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এর আগে তিনবার নির্বাচন করে বিএনপির প্রার্থীকে দুইবার হারিয়ে মেয়র হয়েছেন; একবার হেরেছেন। এবার বিএনপি ভোটে নেই। তবে জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন তালা প্রতীকে ৯৮ হাজার ৩৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। বিএনপি সমর্থিত মোসাদ্দেক হেসেন বুলবুল বাঘ প্রতীকে পান ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোট। ভোট পড়ার হার ছিল ৮১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
২০১৩ সালে ভোটার ছিল ২ লাখ ৮৬ হাজার ৯১৭ জন। মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন তিনজন। ১৮ দলীয় জোটের সমর্থনে তৎকালীন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান তৎকালীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে। সেই বার ভোট পড়ে ৭৬ দশমিক ০৯ শতাংশ।
২০১৮ সালে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পান ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। লিটন ২০১৮ সালে যখন দ্বিতীয়বার মেয়র হন, তখন রাজশাহী সিটিতে ভোট পড়েছিল ৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, এবারের রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে চারজন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডে ১১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ভোটের মাঠে ছিলেন। আর সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রাজশাহী সিটিতে এবার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন ভোটার। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন এবং নারী ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। এই তালিকায় ৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও রয়েছেন। ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১৫৩টি কক্ষে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
Leave a Reply