দুই বছর পেরিয়ে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ গড়িয়েছে তৃতীয় বছরে। দীর্ঘ এই সময়ে পাল্টাপাল্টি হামলায় হয়েছে হাজারও মানুষের প্রাণহানি। সম্প্রতি পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর সহায়তায় টান পড়ায় ইউক্রেন এই সংঘাতে অনেকটা চাপে পড়েছে।
আর সেই সৈন্যের সংখ্যা হতে পারে দেড় হাজার পর্যন্ত। বুধবার (৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
মস্কোতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তৃতাকালে জাখারোভা বলেন, ফ্রেঞ্চ ফরেন লিজিয়নের কমান্ড স্টাফরা গত মার্চের শুরুতে একটি কৌশলগত ব্যাটালিয়ন দল গঠন করেছে, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদেরকে ইউক্রেনে পাঠানো।
এর আগে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে জানিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। যদিও এই বিষয়ে তখন পর্যন্ত ঐক্যমত হয়নি বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
এছাড়া স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীও সেসময় জানান, কিছু পশ্চিমা রাষ্ট্র ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির কথা বিবেচনা করছে।
যদিও প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মন্তব্যের একদিন পরই ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা অস্বীকার করে সামরিক জোট ন্যাটো। মার্কিন নেতৃত্বাধীন এই জোটটি সেসময় জানায়, ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই।
অবশ্য রাশিয়ান ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের প্রধান সের্গেই নারিশকিন দাবি করেছেন, ইউক্রেনে প্রায় ২ হাজার সৈন্য মোতায়েনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে ফ্রান্স।
এমনকি ফরাসি সামরিক বাহিনীর কিছু সদস্য ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
Leave a Reply