মিষ্টি খেতে কে না ভালোবাসেন? আনন্দের কোনো উপলক্ষে মিষ্টিমুখ করানো চাই। আবার সরাসরি মিষ্টি না খেলেও অন্যান্য খাবারের সঙ্গে চিনি ঢোকে শরীরে।
আমাদের শরীরের জন্য চিনি খুবই ক্ষতিকর। তাই স্বাস্থ্য সচেতন অনেক ব্যক্তিই চিনি ছাড়ার চেষ্টা করছেন। কেউ ওজন কমাতে চিনি ছাড়ছেন। কেউবা ডায়াবেটিস কমাতে।
কর্মব্যস্ত জীবনে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, ঘুমের ঘাটতি, অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে দেহে একাধিক রোগ বাসা বাঁধে। এর মধ্যে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ অন্যতম। এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চিনি দায়ী।
অনেকের মনে সংশয় থাকে চিনি খাওয়া একেবারে ছাড়লে কি শরীরের জন্য লাভ না ক্ষতি? এক মাস চিনি থেকে বিরত থাকতে কী হতে পারে জানুন।
ওজন কমায় –
অনেক চেষ্টা করেও ওজন কমাতে পারছেন না? এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেখুন। আমাদের দেহে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি প্রবেশ করে চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবারের মাধ্যমে। অর্থাৎ ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ চিনি। এটি খাওয়া বন্ধ করলেই দ্রুত ওজন কমে।
অনিদ্রা সমস্যা কমায় –
অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। চিনি খাওয়া কমালে ভালো ঘুম হয়। একেবারে চিনি খাওয়া বন্ধ করতে পারলে অনিদ্রার সমস্যা কমে।
কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে –
অনেক সময় ক্লান্ত লাগে। কাজের প্রতি অনীহা আসে। শরীরে শক্তির অভাব হয়। এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ রাখুন। শরীরে স্ফূর্তি বৃদ্ধি পাবে। সেসঙ্গে কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায় –
বেশি চিনি খেলে হার্টের রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে চাইলে চিনি খাওয়া ছাড়ুন।
মানসিক চাপ কমায় –
বর্তমানে মানসিক চাপ আমাদের নিত্যসঙ্গী। অতিরিক্ত চিনি এই চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। এক মাস চিনি খাওয়া ছেড়ে দিলে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।
চিনি ছাড়ার উপকারিতাগুলো তো জানলেন। এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, একেবারে চিনি ছাড়লে লাভ না ক্ষতি?
Leave a Reply