পবিত্র ঈদুল ফিতরে টানা পাঁচদিন ছুটি পেয়েছিলেন সরকারি চাকরিজীবীরা। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায়ও মিলতে পারে টানা ৫ দিনের ছুটি। আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি এক দিন বাড়ানোর পক্ষে মত দেওয়ায় এই সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে।
২০২৩ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, আগামী ২৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি। তবে এই ছুটি ২৭ জুন থেকে দেওয়ার জন্য মত দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির অনেক সদস্য। এটি বাস্তবায়ন হলে আগামী ২৭ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত থাকবে ঈদের ছুটি। পরদিন ১ জুলাই (শনিবার) থাকবে সাপ্তাহিক ছুটি। সে হিসেবে মোট ৫ দিন ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে এই বিষয়ে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, ঈদের সময় মানুষ যাতে সহজে গ্রামে যেতে পারেন সেজন্য আমরা আগামী ২৭ জুন থেকে ছুটির সুপারিশ করেছি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে মন্ত্রিসভা।
তিনি বলেন, সামনে আমাদের কোরবানি ঈদ। এসময় আইনশৃঙ্খলা যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়। বাঙালিরা সবসময় ঘরমুখো। আমরা সবাই মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে চাই। এ কারণে অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়েও বাড়ি যান অনেকেই। বহু মানুষ দুর্ঘটনায় মারা যান। গত ঈদে আলহামদুলিল্লাহ ভ্রমণটা যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্য ছিল। অন্য বছরের মতো এত দুর্ঘটনা ঘটেনি।
ছুটির অনুমোদন মন্ত্রিসভা করতে পারে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা মন্ত্রিসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করব। যদি মন্ত্রিসভা ২৭ জুন থেকে ছুটি অনুমোদন করে তাহলে মানুষের যাওয়া-আসার চাপ কম পড়বে। একটু নিরাপদে যেতে পারবে। আগামী ২৯ জুন আমরা ঈদ ধরে নিচ্ছি।
আমরা সুপারিশ করব। এটা যদি সরকার বিচার-বিবেচনা করে যে দুই-একদিন ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে হয়তো যাতায়াতে চাপ একটু কম পড়বে- বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক।
ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে সর্বশেষ গত ঈদুল ফিতরে একদিন ছুটি বাড়ানোর অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। রমজান মাস ২৯ দিন ধরে ২২ এপ্রিল (শনিবার) ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণ করে ছুটির তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী আগামী ২১, ২২ ও ২৩ এপ্রিল (শুক্র, শনি ও রোববার) ঈদের ছুটি ছিল। তার আগে ১৯ এপ্রিল (বুধবার) ছিল শবে কদরের ছুটি। মাঝে ২০ তারিখ ছুটি ঘোষণা করায় ১৯ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত টানা ৫ দিন ছুটি কাটান সরকারি চাকরিজীবীরা।
Leave a Reply