1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ০৪:১২ অপরাহ্ন

ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র : ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১০৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

টানা তিন বছর ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ এই আগ্রাসনের শুরু থেকেই ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। সাবেক বাইডেন প্রশাসনও শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

তবে গত মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেন নীতিতেও এসেছে নাটকীয় পরিবর্তন। আর এমনই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।

খনিজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন সফরে আসছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেবে না। এছাড়া ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসি সফর করবেন বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার ট্রাম্প বলেন, “আমি (ইউক্রেনকে) খুব বেশি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে যাচ্ছি না। আমরা চাই ইউরোপ এটি করুক।”

জেলেনস্কি এর আগে বলেছিলেন, ইউক্রেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি “প্রাথমিক” অর্থনৈতিক চুক্তি প্রস্তুত রয়েছে, তবে এই চুক্তিতে এখনও কোনও মার্কিন নিরাপত্তা গ্যারান্টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যদিও রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ শেষ করার জন্য এমন কিছুকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে কিয়েভ।

এই সপ্তাহের শেষের দিকে ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সাথে আলোচনার ফলাফলের ওপর চুক্তির পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে বলেও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন। তিনি বলেছেন, “এই চুক্তিটি একটি দুর্দান্ত সাফল্য হতে পারে এবং বড় সাফল্য নির্ভর করছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে আমাদের কথোপকথনের ওপর।”

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে খনিজ সম্পদ নিয়ে চুক্তিতে রাজি ইউক্রেন

মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, সম্ভাব্য এই চুক্তিটিতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পূর্ণ-মাত্রায় আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য মার্কিন সহায়তার ক্ষতিপূরণ হিসাবে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে।

হোয়াইট হাউস মহাকাশ, প্রতিরক্ষা এবং পারমাণবিক শিল্পে ব্যবহৃত খনিজগুলোর বিশাল ভাণ্ডারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য কিয়েভের ওপর ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করেছে। ট্রাম্পের কাছ থেকে শক্তিশালী সমর্থন নিশ্চিত করার জন্য ইউক্রেনের প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই চুক্তিটি। অন্যদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের দ্রুত সমাপ্তি চান ট্রাম্প।

ট্রাম্প বুধবার বলেন, তিনি এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভের লাভজনক‘রেয়ার আর্থ’ খনিজের ওপর বস্তুত অধিকার পাবে। এর ফলে রাশিয়ার তিন বছরব্যাপী আগ্রাসী যুদ্ধে ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে যে অস্ত্র পাঠিয়েছিলে তার মূল্য পুষিয়ে নেবে ওয়াশিংটন।

ওয়াশিংটন কিয়েভকে যে ১০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি মূল্যের অস্ত্র-শস্ত্র দিয়েছে সে প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “আমার দুই নম্বর বিষয়টি হচ্ছে সেই অর্থ ফিরে পাওয়া। আমাদের সামরিক সরঞ্জাম ছাড়া, রাশিয়া ইউক্রেন দখল করে নিলে ‘যুদ্ধ এমনিতেই দ্রুত শেষ হয়ে যেত’।”

ট্রাম্প বলেন, এই লড়াই বন্ধ করার জন্য শেষ পর্যন্ত তিনি জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে পারবেন বলে আশা করছেন। এই সংঘাত বন্ধ করার লক্ষ্যে ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। যদিও গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মধ্যে প্রথম বৈঠক থেকে ইউক্রেন ও ইউরোপের কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়া হয়।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট