আকিকা মুসলমান পরিবারে শিশুর জন্মের পর সপ্তম দিবসে আল্লাহর উদ্দেশে নবজাতকের মঙ্গল-কামনায় পালিত অনুষ্ঠান। এই দিন শিশুর নাম রাখা হয়। এ উপলক্ষে প্রথম চুলকাটা ও কোরবানি দেওয়া সুন্নত। কোনো কারণে সপ্তম দিবসে এ অনুষ্ঠান করা সম্ভব না হলে, এমনকি শিশু বড় হয়ে নিজেও তা করতে পারে।
দাউদ-আল-জাহিরিসহ কতিপয় আলেম আকিকাকে অবশ্যকরণীয় ওয়াজিব বলে গণ্য করেছেন। পক্ষান্তরে ইমাম আবু হানিফা (র.)-এর মতে, এটি শুধুই মুস্তাহাব বা পুণ্যজনক। শিশুর কর্তিত কেশকেও আকিকা নামে অভিহিত করা হয়। শরিয়তে এই কর্তিত কেশের সমপরিমাণ রৌপ্য দান করার নির্দেশ আছে।
আকিকাতে ছেলে–শিশুর জন্য দুটি ও মেয়ে-শিশুর জন্য একটি ছাগল কিংবা ভেড়া কোরবানি করার নির্দেশ রয়েছে। প্রাক-ইসলাম আরবেও আকিকার প্রচলন ছিল। ইহুদিরা কেবল পুত্রসন্তানের জন্য আকিকা দিত। রাসুল (সা.)-এর একটি হাদিস থেকেও তা জানা যায়।
দাউদ-আল-জাহিরিসহ কতিপয় আলেম আকিকাকে অবশ্যকরণীয় ওয়াজিব বলে গণ্য করেছেন। পক্ষান্তরে ইমাম আবু হানিফা (র.)-এর মতে, এটি শুধুই মুস্তাহাব বা পুণ্যজনক। শিশুর কর্তিত কেশকেও আকিকা নামে অভিহিত করা হয়। শরিয়তে এই কর্তিত কেশের সমপরিমাণ রৌপ্য দান করার নির্দেশ আছে।
সূত্র: ‘আকিকা’, যার যা ধর্ম, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রথমা প্রকাশন, ২০১৪
Leave a Reply